basirhat

কিশোরীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ, গ্রেফতার দুই নাবালক

সোমবার সল্টলেকে জুভেনাইল আদালতে তোলা হবে। ধর্ষণের কথা অবশ্য অস্বীকার করেছে ধৃতেরা। তোতা গাজি নামে অন্য এক অভিযুক্ত স্বরূপনগরের বাসিন্দা। তাকে খুঁজছে পুলিশ। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:১৪
Share:

প্রতীকী চিত্র।

নবম শ্রেণির ছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তিনজনের বিরুদ্ধে। একজন তার নিকট আত্মীয়। অভিযোগ, মেয়েটিকে মারধর করে তিন জন। জ্ঞান হারালে সেই অবস্থাতেই নির্যাতন চালায়। কাউকে কিছু জানালে খুন করা হবে বলে হুমকি দিয়ে পালায়। বাংলাদেশে গিয়ে গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল অভিযুক্তেরা। দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের ইটিন্ডায়। জখম মেয়েটির চিকিৎসা চলছে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে। ধৃত দুই নাবালককে শুক্রবার বসিরহাট আদালতে তোলা হয়। তাদের তিন দিন একটি হোমে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সোমবার সল্টলেকে জুভেনাইল আদালতে তোলা হবে। ধর্ষণের কথা অবশ্য অস্বীকার করেছে ধৃতেরা। তোতা গাজি নামে অন্য এক অভিযুক্ত স্বরূপনগরের বাসিন্দা। তাকে খুঁজছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাটের বাসিন্দা মেয়েটি নবম শ্রেণিতে পড়ে। ঘটনার দিন গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ বাবার সঙ্গে বাড়ি ফিরেছিল। মা খেতে দিচ্ছিলেন। সে সময়ে তারই এক দাদা ‘পড়াশোনা নিয়ে কথা আছে’ বলে ডেকে নিয়ে যায়। ফিরে এসে খাবে বলে বেরোয় মেয়েটি। অভিযোগ, বাড়ির বাইরে অন্ধকারের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিল আরও দু’জন। মেয়েটিকে মুখ চেপে, হাত-পা বেঁধে কাছের একটি ইটভাটায় নিয়ে যায় তারা। চিৎকার করতে গেলে শুরু হয় মারধর। এক সময়ে জ্ঞান হারায় মেয়েটি। অভিযোগ, সেই অবস্থায় ঘণ্টাখানেক ধরে মেয়েটিকে তিনজন মিলে ধর্ষণ করে। রক্তাক্ত অবস্থায় নেতিয়ে পড়তে থাকে কিশোরী। এক সময়ে অভিযুক্তেরা পালায়।

Advertisement

মেয়ে অনেকক্ষণ বাড়ি ফিরছে না দেখে ততক্ষণে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়েছে। আত্মীয়-স্বজনেরা রাত ৯টা নাগাদ মেয়েটি উদ্ধার করেন। ঘটনার জানাজানি হতেই গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়ায়। বিপদ বুঝে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে দুই কিশোর। পুলিশ তাদের সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।

তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, তোতার বাড়ি স্বরূপনগরের গুণরাজপুর গ্রামে। বিবাহিত ওই যুবক ইটভাটায় কাজ করে। তার সঙ্গে কোনও ভাবে আলাপ হয়েছিল দুই কিশোরের। ইটভাটার পাশ দিয়ে যাওয়া মহিলাদের তারা নানা সময়ে উত্যক্ত করত বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।

মেয়েটির কথায়, ‘‘দাদার কথা মতো বেরিয়েছিলাম। সে যে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে এমন ঘটনা ঘটাবে, ভাবতে পারছি না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement