সঞ্জয়ের স্ত্রী রূপালি। নিজস্ব চিত্র।
স্ত্রীকে মারধর ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে সিভিক ভলান্টিয়ার স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার পশ্চিম অমরাবতী গ্রামে। ধৃত সঞ্জয় হালদার ফ্রেজারগঞ্জ থানার সিভিক ভলান্টিয়ার। অভিযুক্ত শ্বশুরবাড়ির আরও দু’জন পলাতক বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। মারধরে জখম রূপালি হালদার নামখানা ব্লক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ধৃতকে শুক্রবার কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
সঞ্জয় এবং রূপালির একই গ্রামে দুই পাড়ার বাসিন্দা। রূপালির বাবা সমরেশচন্দ্র সর্দার পুলিশকে জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে মেয়ে ভালবেসে বিয়ে করেছিল সঞ্জয়কে। ছেলের বাড়ি এই বিয়ে মেনে নিলেও মেয়ের বাড়ি থেকে আপত্তি ছিল। এ দিকে, বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাতে রূপালির উপরে অত্যাচার হত বলে অভিযোগ।
বুধবার রাতে মারধরে কান কেটে যায় রূপালির। গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে যান তিনি। পর দিন, বৃহস্পতিবার থানায় যান রূপালি। এই খবর থানা থেকে মেয়ের বাপের বাড়ি লোকজন জানতে পারেন। রূপালির বাবা আসেন সেখানে। লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। মেয়েকে তাঁরা স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
রূপালি বলেন, ‘‘নানা অজুহাতে আমার উপরে অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। আমি সে কথা গ্রামবাসীদের জানিয়েছি আগে। একবার মারধরে ডান কানের পর্দা ফেটে গিয়েছিল। কাচের গ্লাস ছুড়ে মারত, খেতে বসলে ভাতের থালার সামনে থেকে তুলে দিত।’’