এখানেই মৃত্যু হয় শিশুটির। নিজস্ব চিত্র।
ছ’মাসের ছেলে ঘুমিয়েছিল খাটে। ঘর থেকে বেরিয়েছিলেন মা। ফিরে এসে দেখেন, ছেলে নেই। কান্না জুড়ে দেন তিনি। পড়শিরা জড়ো হন। দেখা যায়, খাটের নীচে জমা জলে ডুবে আছে ছেলে। হাবড়া
স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানিয়ে দেন। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ। নবমীর সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার উত্তর হাবড়া লোকনাথ সরণি এলাকায়।
বর্ষার ভারী বৃষ্টিতে হাবড়ার বেশ কিছু এলাকা মাস তিনেক ধরে জলমগ্ন। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ ছিল। রবিবারের ঘটনার পরে আরও উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
শিশুর বাবা গোপাল সরকার, মা সাথী ভেঙে পড়েছেন কান্নায়। শিশুটির মামা বলেন, ‘‘দিদি পাশের বাড়িতে গিয়েছিলেন একটা কাজে। কিছুক্ষণের মধ্যে ফিরে এসে দেখে, ভাগ্নে খাটে নেই।’’ স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকেই জানালেন, ঘরের মধ্যে একহাঁটু জমা জল ঠেলে মাস তিনেক ধরে সংসার করতে হচ্ছে।
জমা জল বের করতে সম্প্রতি পদক্ষেপ করেন স্থানীয় বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও। হাবড়ার পুরপ্রশাসক নীলিমেশ দাস বলেন, ‘‘শিশুর মৃত্যু দুঃখজনক ঘটনা। ওই এলাকায় ১৪টি পাম্প বসানো হয়েছে জমা জল দ্রুত বের করতে।’’ তবে জল বেশি হওয়ায় সময় লাগছে বলে জানান তিনি। ফলে এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি কিছু এলাকায়। পুর এলাকার কয়েকটি জায়গায় রাস্তায় চলছে ভেলা।
এত দিনেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হল না কেন, সে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। গত কয়েক বছর ধরেই নিকাশি সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে পুরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। বিজেপি নেতা বিপ্লব হালদার বলেন, ‘‘হাবড়া শহরের জল নিকাশির প্রধান মাধ্যমে ছিল পদ্মাখাল। সেই খালের জমির জবরদখল করে বেআইনি নির্মাণ হয়েছে।’’