চালু: মাতলা স্টেশনে অপেক্ষায় যাত্রীরা। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা
দীর্ঘ অপেক্ষার পরে স্বাধীনতা দিবসের দিন ‘মাতলা’ নামে চালু হল চাঁদখালি হল্ট স্টেশন।
রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০৯ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ক্যানিং ও তালদি স্টেশনের মধ্যবর্তী এলাকার মানুষের কথা মাথায় রেখে চাঁদখালিতে একটি হল্ট স্টেশনের শিলান্যাস করেছিলেন। পরবর্তী বাজেটে সেই স্টেশন তৈরির টাকা বরাদ্দ হয়। শুরু হয় কাজ। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে স্টেশনটি তৈরি হয়ে পড়ে থাকলেও সেখানে ট্রেন দাঁড়াত না। ফলে পরিত্যক্ত স্টেশনে বাড়ছিল দুষ্কৃতীদের আড্ডা। অভিযোগ, বার বার বিভিন্ন জায়গায় দরবার করেও স্টেশন চালু হয়নি।
মার্চ মাসে ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস শিয়ালদহের ডিআরএমের কাছে স্টেশনটি চালুর আবেদন জানান। রাজ্য সরকারের তরফে হল্ট স্টেশনের নাম চাঁদখালির পরিবর্তে মাতলা করার দাবি জানানো হয়েছিল আগেই। সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে সোমবার চালু হয়েছে স্টেশন। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, সারাদিনে আপ ও ডাউন মিলিয়ে চার জোড়া ট্রেন দাঁড়াবে মাতলা হল্ট স্টেশনে।
স্টেশন চালু হলেও স্টেশনের নাম বদলে মাতলা করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। এ নিয়ে স্টেশন চত্বরে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। স্টেশনে বোর্ডের নাম বদল করতে গিয়েও গ্রামবাসীদের বাধার মুখে পড়েন ঠিকাদারি সংস্থার কর্মীরা। পরে অবশ্য নাম বদল করেই চালু হয় স্টেশন।
স্থানীয় বাসিন্দা নকুল সর্দার বলেন, ‘‘বহু বছর ধরেই এই এলাকার নাম চাঁদখালি। এখন হঠাৎ করে নাম পরিবর্তন হলে বাইরে থেকে আসা মানুষ সমস্যায় পড়বেন। আমাদেরও নানা সমস্যা তৈরি হবে।’’
এ বিষয়ে স্থানীয় বিধায়ক বলেন, ‘‘মাতলা সুন্দরবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী। গোটা ক্যানিং এই নদীর পাড়ে অবস্থিত। সেই নদীর নামে স্টেশন তৈরি হলে আমাদের গর্ব হওয়া উচিত।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘নতুন স্টেশন চালু হওয়ায় এলাকার মানুষের খুবই সুবিধা হচ্ছে। এখন আর ট্রেন ধরতে আর চার-পাঁচ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হবে না।’’
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ‘‘স্টেশনটির কিছু কাজ বাকি ছিল। সেগুলি শেষ হতেই এটি চালু করা হয়েছে।’’