Ichamati

ইছামতী নিয়ে তথ্যই নেই  জলশক্তি মন্ত্রীর কাছে

ইছামতী সংস্কার নিয়ে কেন্দ্রের স্পষ্ট কোনও ভাবনা আছে কিনা, তা জানাতে পারলেন না কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

হাবড়া শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:২৮
Share:

জনসংযোগ: হাবড়ায় গজেন্দ্র সিংহ। ছবি: সুজিত দুয়ারি।

ইছামতী সংস্কার নিয়ে কেন্দ্রের স্পষ্ট কোনও ভাবনা আছে কিনা, তা জানাতে পারলেন না কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত। শনিবার হাবড়ায় দলীয় কর্মসূচিতে এসেছিলেন তিনি। পরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানেই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘‘নদী রাজ্যের বিষয়। ইছামতী নদী সম্পর্কে আমার কাছে তথ্য নেই। ইছামতীর উন্নতির জন্য রাজ্য সরকার যদি পরিকল্পনা করে পাঠায়, আমরা কাজ করব।’’

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ ইছামতী নদী সংস্কার সহায়তা কমিটির কর্ণধার সুভাষ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রীর কাছে ইছামতী নদী নিয়ে তথ্য না থাকাটা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা অতীতে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে নদী সংস্কারের দাবি করেছিলাম।’’

মন্ত্রী এ দিন দলের কর্মসূচিতে হাবড়ার নানা জায়গায় ঘোরেন। গ্রামে বাড়ির কাছে বাঁশের লাঠি ভর দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন প্রতিবন্ধী যুবক পঞ্চু মণ্ডল। সেখানে পৌঁছে যান গজেন্দ্র। মন্ত্রীর প্রশ্নের উত্তরে পঞ্চু জানান, সরকারি পাকা বাড়ি পাননি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁকে বলেন, ‘‘মোদিজী পাকা বাড়ির জন্য টাকা দিয়েছেন, তারপরেও আপনার বাড়ি কাঁচা। এটা অন্যায়। বলুন, আর নয় অন্যায়।’’

Advertisement

এ দিন মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন দলের বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়, জেলা বিজেপি নেতা বিপ্লব হালদার, অশোকনগর বিধানসভার আহ্বায়ক স্বপন দে। হানাপাড়া গ্রাম থেকে মন্ত্রী চলে যাওয়ার পরে কয়েকজন মহিলাকে বলতে শোনা গেল, ‘‘গ্রামে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আসায় আমাদের কোনও উপকার হবে কিনা জানি না। তবে এই প্রথম কোনও মন্ত্রী এসে আমাদের দুঃখ-কষ্টে কথা শুনলেন। এটাই আমাদের পাওনা।’’ বামিহাটি এলাকায় ঘোষ পরিবারের ঘরে মন্ত্রী দুপুরের খাওয়া সারেন। পরে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেন। হাবড়ায় আইনজীবী ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন মন্ত্রী। সন্ধ্যায় সভা করেন।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। হাবড়ার পুরপ্রশাসক তথা তৃণমূল নেতা নীলিমেশ দাস বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিছু সময়ের জন্য ঘুরতে এসেছিলেন। হাবড়ার মানুষ আতিথেয়তা করেছেন। কিন্তু তাঁরা ভালবাসা দেননি।’’ তাঁরা জানেন মুখ্যমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রী (জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক) হাবড়ার মানুষের পাশে সারা বছর সুবিধা-অসুবিধায় থাকেন। ’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement