উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় বিকল সিসিটিভি ক্যামেরা

গত এক দশক ধরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে লাগানো হয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশ সিসিটিভিই খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বারাসাত শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ১৩:১১
Share:

বিকল সিসিটিভি। নিজস্ব চিত্র।

অপরাধীদের চিহ্নিতকরণ থেকে অপরাধের কিনারা। এ ব্যাপারে পুলিশের বড় ভরসা সিসিটিভি ক্যামেরা। সেই লক্ষ্যেই গত এক দশক ধরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে লাগানো হয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশ সিসিটিভিই খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। যেমন বারাসাত পুলিশ জেলাতে ৫১৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল। যার মধ্যে ৪৩০টি বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। তাই বড় সড় কোনও অপরাধের ঘটনা ঘটলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে পুলিশ প্রশাসনকে।

Advertisement

সাংসদ, বিধায়ক কোটার টাকা থেকে এই সব ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। কোথাও আবার পুরসভা, পঞ্চায়েত সমিতির টাকাতেও বসানো হয়েছিল সিসিটিভি। কিন্তু বিকল হওয়ার পর তা সারানোর বিষয়ে উদাসীন সকলে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাতকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রান্তের যোগাযোগ রয়েছে। বারাসাত থেকে ব্যারাকপুর, বসিরহাট, বনগাঁ। মধ্যমগ্রাম থেকে সোদপুর যাওয়ার রাস্তা। সব রাস্তার বিভিন্ন জায়গাতেই সিসিটিভি বসানো হয়েছিল। কিন্তু বেশিরভাগ খারাপ হওয়ায় বিপাকে পুলিশ প্রসাশন। বিগত বছরগুলিতে বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনার কিনারা করতে সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সহযোগিতা পেয়েছিল পুলিশ। সেগুলি বিকল থাকায় এখন তা হচ্ছে না।

এ বিষয়ে মধ্যমগ্রাম পৌরসভার পৌরপ্রধান রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, তাঁর এলাকায় ৫০টির বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা খারাপ হয়েছিল। বেশ কিছু পুজোর আগে সরানো হয়েছে। বাকিগুলো মেরামত করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু বারাসাতের প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘সিসিটিভির নীচে দাঁড়িয়ে তার কেটে নিচ্ছে। অভিযোগ করেও কিছু হচ্ছে না।’’ যদিও বারাসাত পৌরসভার সিসিটিভির মনিটরিংয়ের দায়িত্ব পুলিশের উপরে নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। গোবরডাঙ্গা পুরসভাতে ১০০-র উপরে ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। আমপানের আগে বেশ কিছু খারাপ ছিল। আমপানের পর থেকে সব সিসিটিভি গুলো খারাপ হয়েছে। গোবরডাঙার প্রশাসক সুভাষ দত্ত বলেছেন, ‘‘এই বছরের মধ্যে সমস্ত সিসিটিভি ঠিক করা হবে।’’ বারাসাত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘সিসিটিভির ফুটেজ অপরাধ রুখতে এবং অপরাধীদের ধরতে সহযোগিতা করে। সেগুলো আবার ঠিক হয়ে গেলে আমাদের সুবিধা হবে।’’ আইনজীবী বৈশালী মজুমদার জানিয়েছেন নারী সুরক্ষার জন্য সিসিটিভি ফুটেজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলো খারাপ হয়ে থাকলে মেয়েদের উপর অত্যাচার বেড়ে যাবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: সদ্যোজাতকে স্তন্যপান করালেন চিকিৎসক

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement