— প্রতীকী চিত্র।
আবার মিনাখাঁয় পৌঁছে গেল সিবিআই। বৃহস্পতিবার সকালে সিবিআইয়ের একটি দল কলকাতা থেকে বেরিয়ে মিনাখাঁ যায়। সেখানে একাধিক ইটভাঁটা রয়েছে। সেই ইটভাঁটাতে ঢুকতে দেখা গিয়েছে সিবিআইয়ের আধিকারিকদের। গোয়েন্দা আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন ইটভাঁটার ম্যানেজার। ঘণ্টাখানেক ইটভাঁটায় ছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা।
গত ৫ জানুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির সরবেড়িয়া গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে দাপুটে তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি। কিন্তু তৃণমূল নেতার অনুগামীদের মারের মুখে প্রাণ নিয়ে পালাতে হয় ইডি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। সেই ঘটনা ঘিরে তোলপাড় পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে এলাকার একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল, বিভিন্ন অনিয়ম এবং নির্যাতনের অভিযোগে পথে নামেন সন্দেশখালির মহিলাদের একাংশ। সন্দেশখালির স্থায়ী জায়গা হয়ে যায় শিরোনামে। এই পরিস্থিতিতে ইডির উপর হামলার ঘটনায় সাত জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরবর্তী কালে তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে যায়। সূত্রের খবর, ধৃত সাত জনের মধ্যে ছিলেন আইজ়ুল নামে এক ব্যক্তিও। বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের দলকে ঢুকতে দেখা যায় সেই ইটভাঁটায়, যেখানে একদা কাজ করতেন আইজ়ুল। ফলে আইজ়ুলের ব্যাপারে আরও খোঁজখবর করতেই ইটভাঁটায় গিয়েছে সিবিআই বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, আইজ়ুল ওই ইটভাঁটাতেই কাজ করতেন এবং রাতে সেখানেই থাকতেন। এ ছাড়াও ওই ইটভাঁটার মালিক শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, পুলিশ যে সাত জনকে ইডির উপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার করেছিল, তাঁরা আদৌ ঘটনার সঙ্গে কতটা যুক্ত ছিলেন, তা যাচাই করার চেষ্টা করছে সিবিআই।
এই সূত্রেই, ইটভাঁটা থেকে বেরিয়ে সিবিআইয়ের দলটি চলে যায় সরবেড়িয়া গ্রামের কাছে। সেখানে হালদার পাড়ায় ঢোকে সিবিআই। ওই পাড়াতেই বাড়ি এনামুল নামে এক ব্যক্তির। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। গত ৫ জানুয়ারি ইডির উপর হামলার ঘটনায় আইজুলের পাশাপাশি এনামুলকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। সিবিআই হালদার পাড়ায় এনামুলের বাড়িতে যায়। গোয়েন্দারা কথা বলেন এনামুলের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে। এনামুলের স্ত্রী সিবিআইয়ের আধিকারিকদের কাছে দাবি করেন, ইডির উপর হামলায় তাঁর স্বামীর কোনও হাত নেই। তাঁর অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান জিয়াউদ্দিন স্বামীকে ফাঁসিয়েছেন। এ দিন, এনামুলের বাড়ির পাশাপাশি আইজুলের বাড়িতেও যান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা।