Canning

ক্যানিংয়ে অস্ত্র কারখানার হদিস

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এক সময়ে এলাকায় বামপন্থী কর্মী বলে পরিচিত ছিলেন হৃষীকেশ। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় ভাবে দেখা যেত না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৩ ০৯:১৭
Share:

উদ্ধার হওয়া অস্ত্র। ইনসেটে, অভিযুক্ত হৃষীকেশ। নিজস্ব চিত্র

পঞ্চায়েত ভোটের আগে অস্ত্র কারখানার হদিস মিলল ক্যানিংয়ে। ক্যানিং থানার ঢোসা বালুইঝাঁকা গ্রামে হৃষীকেশ মণ্ডলের বাড়িতে মিলেছে কারখানা। উদ্ধার হয়েছে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র, একটি এয়ারগান, ১২টি কার্তুজ, আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম।

Advertisement

বুধবার রাতে খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিশ ও বারুইপুর জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ অভিযান চালায়। গ্রেফতার করা হয়েছে বছর আশির হৃষীকেশকে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এক সময়ে এলাকায় বামপন্থী কর্মী বলে পরিচিত ছিলেন হৃষীকেশ। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় ভাবে দেখা যেত না। পুলিশের দাবি, সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত না থাকলেও অস্ত্র তৈরি এবং সারাইয়ের ব্যাপারে নামডাক ছিল হৃষীকেশের। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দুষ্কৃতীরা তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্র সারাইয়ের বরাত দিত। আবার হৃষীকেশের বাড়ির কারখানায় তৈরি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র কিনে নিয়ে যেত। বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে তোলা হয় হৃষিকেশকে। তাঁকে দু’দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার পুষ্পা বলেন, ‘‘ধৃত ব্যক্তিকে জেরা করে এই কারবারে জড়িত বাকিদের খোঁজ চলছে।’’

Advertisement

স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব এ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। আরএসপি নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুভাষ নস্কর বলেন, ‘‘উনি আগে বামফ্রন্টের সঙ্গে ছিলেন কি না জানা নেই। তবে দীর্ঘ দিন ধরে বামফ্রন্টের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। সক্রিয় রাজনীতি করেন বলেও জানা নেই। যদি দোষী হয়, পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। কেউ-ই আইনের ঊর্ধ্বে নন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement