দলের ফেস্টুন ছেঁড়া হয়েছে।
গোসাবার গ্রামে সংঘর্ষে জখম হলেন তৃণমূল ও আরএসপির দুই প্রার্থী-সহ দু’পক্ষের সাত জন। শনিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে পাঠানখালি এলাকায়। জখম আরএসপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম ঘরামিকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তৃণমূলের প্রার্থী দেবাশিস নস্করকেও পাঠানো হয়েছে কলকাতার হাসপাতালে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন বিকেলে স্থানীয় আরএসপি প্রার্থী আনন্দ মণ্ডলের হয়ে প্রচার করছিলেন পাশের বুথে একই দলের প্রার্থী নজরুল। তৃণমূলের প্রার্থী আনন্দ নস্করের হয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন আর এক তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস। দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। পরে মারামারি শুরু হয়। মোটর বাইক, টোটো ভাঙচুর হয়েছে বলে অভিযোগ।
দেবাশিস বলেন, “আমাদের প্রচারের সময়ে আচমকাই ওরা হামলা চালায়।” নজরুলের দাবি, “আমরা ভোটের প্রচার করছিলাম। সে সময়ে তৃণমূল নেতা সুবিদ আলি ঢালির লোকেরা রড, লাঠি, বন্দুক নিয়ে হামলা চালায়। আমাদের প্রচারের টোটো ভাঙচুর করে।” সুবিদ অভিযোগ মানেননি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গোসাবা থানার পুলিশ। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
অন্য দিকে, বাদুড়িয়ার শায়েস্তানগরে সিপিএম কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়ে প্রার্থী ও কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএম সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে শায়েস্তানগর ২ পঞ্চায়েতের ২২০ নম্বর বুথে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে পতাকা লাগাচ্ছিলেন দলের প্রার্থী তরিকুল ইসলাম গাজি। তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তরিকুল ও তাঁর সঙ্গীদের মারধর করা হয়। দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। তরিকুল-সহ কয়েক জন সিপিএম কর্মী আহত হন। দু’জনকে বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সিপিএমের দাবি, তাদের প্রার্থীকে মনোনয়ন তুলতে বার বার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় এই হামলা। ওই বুথের তৃণমূলের প্রার্থী প্রকাশ সর্দারের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। সিপিএম নেতা অনিমেষ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের দলীয় কার্যালয়ে তৃণমূল নেতা প্রকাশ সর্দারের নেতৃত্বে হামলা হয়। আমাদের প্রার্থীকে প্রাণে মারার চেষ্টা হয়।বেশ কয়েক জনকে মারধর করা হয়েছে।”
অভিযুক্ত তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশ সর্দারের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তৃণমূল নেতা কৌশিক দত্ত বলেন, “মারধর-ভাঙচুরের অভিযোগ মিথ্যা। ওরাই আমাদের কর্মীদের মারধর করেছে।” ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।