বার্তা: মিষ্টিমুখের মাধ্যমে সচেতনতা প্রচার। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা।
করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ অনিবার্য এবং আসন্ন বলেই মত চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞদের। এই পরিস্থিতিতে মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বার বার চিকিৎসক ও প্রশাসনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ক্যানিংয়ের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ নিয়ম মানছেন না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বুধবার ক্যানিংয়ের মহকুমাশাসক আজহার জিয়া, এসডিপিও গোবিন্দ শিকদার ও ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাসের উদ্যোগে সচেতনতা কর্মসূচি করা হয়।
এ দিন প্রশাসনের তরফে মাস্কহীনদের হাতে মাস্ক, গোলাপ, ফুল ও মিষ্টি তুলে দেওয়া হয়। তবে বৃহস্পতিবার থেকে মাস্ক পরে না বেরোলে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে সকলকে।
এ দিন গোটা ক্যানিং বাজার ঘুরে মাইকে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার থেকে ক্রেতা-বিক্রেতা সকলকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। সরকারি নির্দেশ অমান্য করলে আইন ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে পুলিশ ও মহকুমা প্রশাসনের তরফে।
এক সময়ে ক্যানিং মহকুমায় দৈনিক করোনা সংক্রমণ ছিল এক হাজারেরও বেশি। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে পাঁচশোর উপরে ছিল দৈনিক সংক্রমণ। জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে সংক্রমণ কমতে
থাকে। ১০ জুন গোটা মহকুমায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৩৫১। গত দু’মাসে সংক্রমণের হার ক্রমশ নিম্নমুখী হয়েছে। মঙ্গলবারের হিসেব অনুযায়ী, ক্যানিং মহকুমায় মোট ৫০ জন অ্যাক্টিভ করোনা রোগী রয়েছেন। এর মধ্যে ক্যানিং ১ ব্লকে ১৩ জন, ক্যানিং ২ ব্লকে ৭ জন, বাসন্তীতে ২৩ জন ও গোসাবায় রয়েছেন ১৪ জন। এখনও পর্যন্ত এই মহকুমায় করোনায় ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘সংক্রমণ রুখতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ক্যানিং বাজার ও ক্যানিং শহর এলাকায় আমরা মানুষকে সচেতন করতে পথে নেমেছি। তৃতীয় ঢেউকে রুখে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।”
বিধায়ক বলেন, “যাঁরা মাস্ক ছাড়াই বেরিয়েছেন, আজ তাঁদের হাতে মাস্ক, ফুল, মিষ্টি তুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী কাল থেকে করোনাবিধি না মানলে প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেবে।”