বেলঘরিয়ায় হামলার পর ব্যবসায়ীর গাড়ি। — নিজস্ব চিত্র।
শনিবার ভরদুপুরে বেলঘরিয়ার রথতলা মোড়ে ব্যবসায়ীর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। সেই ব্যবসায়ী অজয় মণ্ডলের কাছে এ বার ফোন এল হুমকি নিয়ে। অভিযোগ, বিহার থেকে এক দুষ্কৃতী ব্যবসায়ীকে ফোন করছে বার বার। দাবি করছে, তিনিই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটিয়েছে। অজয়ের দাবি, ওই দুষ্কৃতী জানিয়েছে, মারতে চাইলে তাঁকে মেরেই ফেলা হত। অর্থাৎ, আদৌ দুষ্কৃতীরা শনিবার তাঁকে মারতে চায়নি। গোটা বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছেন অজয়।
অজয়ের দাবি, তাঁকে ফোন করেছিলেন সুবোধ সিংহ নামে এক দুষ্কৃতী। সে বর্তমানে বিহারের জেলে বন্দি। সেখান থেকে কী ভাবে ফোন করছে, তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন অজয়। তাঁর কথায়, ‘‘সুবোধ সিংহ আমাকে ফোন করছে। আমি শুনেছি, ও এখন বিহারের কোন জেলে বন্দি। কী ভাবে ফোন করছে জানি না।’’ শনিবারের ঘটনার পর অজয়ের কাছে এখনও পর্যন্ত দু’বার ওই ফোন এসেছে।
ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, সুবোধ তাঁকে ফোন করে হুমকি দিয়েছে। তাঁকে বলা হয়েছে, যদি খুন করার পরিকল্পনা থাকত, তবে গাড়িতে গুলি চালানোর প্রয়োজন হত না। শোরুমে ঢুকেই মেরে ফেলা যেত ব্যবসায়ীকে। তবে উদ্দেশ্য খুন করা ছিল না বলেই ফোনে জানিয়েছে সুবোধ। সে বলেছে, ব্যবসা করতে গেলে তার সঙ্গে মানিয়ে চলতে হবে। তার কথা অনুযায়ী না চললে অজয় ব্যবসা চালাতে পারবেন না বলেও হুমকি দেয় অভিযুক্ত। পুলিশের কাছে তেমনটাই দাবি করেছেন ব্যবসায়ী।
শনিবার রথতলা মোড়ে ব্যবসায়ীর কালো ভলভো গাড়িতে পর পর আট রাউন্ড গুলি চলে। গুলি কারও গায়ে লাগেনি। ওই গাড়িতে অজয় ছাড়া আরও দু’-তিন জন ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গাড়ির মধ্যে পাঁচটি বুলেটের দাগ পাওয়া গিয়েছে। ভরদুপুরে এমন গুলি চালনার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। বেলঘরিয়া থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ব্যবসায়ী পুলিশকে জানিয়েছিলেন, গত কয়েক দিন ধরে টাকা চেয়ে কিছু দুষ্কৃতী তাঁকে ফোন করছিল। সেই টাকা না দেওয়াতে এই হামলা হয়ে থাকতে পারে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি।