দিদির বাড়িতে ফোঁটা নিতে এসে নিহত যুবক মিঠুন সর্দার (বক্সের মধ্যে)। — নিজস্ব চিত্র।
দিদির বাড়িতে ভাইফোঁটা নিতে এসে গুলিবিদ্ধ হলেন যুবক। ডায়মন্ড হারবারের দক্ষিণ কুলেশ্বর এলাকার ঘটনা। নিহত যুবকের নাম মিঠুন সর্দার (২২)। তাঁর বাড়ি উষ্টি থানার অন্তর্গত সাতঘরা এলাকায়। মিঠুনের দিদির ভাসুরের ছেলের বিরুদ্ধে তাঁকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার ডায়মন্ড হারবারের দক্ষিণ কুলেশ্বর এলাকায় দিদি পূর্ণিমা সর্দার মণ্ডলের বাড়িতে ভাইফোঁটা নিতে এসেছিলেন মিঠুন। সঙ্গে এসেছিলেন মিঠুনের আরও এক দিদি। দুই দিদি একসঙ্গে ফোঁটা দেন মিঠুনকে। ফোঁটা নেওয়ার পর পরই পূর্ণিমার বাড়িতে জমি সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে বিবাদ বাধে। জমি নিয়ে পূর্ণিমা এবং তাঁর স্বামী জগন্নাথ মণ্ডলের সঙ্গে বিবাদ শুরু হয় জগন্নাথের দাদা জয়দেব মণ্ডল এবং ভাইপো শুভঙ্কর মণ্ডল ওরফে পরেশের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগ্বিতণ্ডা চলাকালীন হঠাৎই বন্দুক বার করে পর পর দু’বার গুলি চালান পরেশ। দিদিকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন মিঠুন। সেই সময় দুটো গুলিই মিঠুনের বুকে লাগে। তাঁকে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিগত কয়েক দিন ধরেই মিঠুনের দিদি এবং জামাইবাবুর সঙ্গে জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল অভিযুক্তের পরিবারের। অভিযুক্ত পরেশ এই নিয়ে বেশ কয়েক বার শাসানিও দিয়েছিল পূর্ণিমা এবং জগন্নাথকে। মিঠুনকে সেই কথা ফোন করে জানিয়েও ছিলেন দিদি পূর্ণিমা।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত পরেশকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন দে জানান, ঘটনার পর থেকে এলাকাতেই গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন অভিযুক্ত। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত চলছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।