—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দালাল চক্র চলছে বলে অভিযোগ উঠছে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। রোগীর পরিজনের একাংশের অভিযোগ, হাসপাতালের ভিতরেই মেডিক্যাল সরঞ্জাম বিক্রি করা হচ্ছে। এমনকী, নির্দিষ্ট দোকানের নাম বলে হাসপাতাল থেকে রোগীদের সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্য দোকান থেকে মেডিক্যাল সরঞ্জাম কিনলে তা খারাপ বলে রোগীদের হয়রান করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এ ক্ষেত্রে ডাক্তারবাবুর নাম উল্লেখ করেই দালালেরা এই কাজ করছে বলে জানিয়েছেন রোগী ও তাঁদের পরিজনেদের একাংশ। হাসপাতালের বদলে বাইরে থেকে রোগীর স্বাস্থ্যসংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে ওই চক্র চাপ সৃষ্টি করছে বলে জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি কাকদ্বীপ হাসপাতালের একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে (তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার)। সেখানে দেখা গিয়েছে, গগনজ্যোতি মাইতি নামে এক ব্যক্তি মেডিক্যাল সরঞ্জাম কেনা নিয়ে এক দালালকে হাসপাতালের ভিতরেই হাতেনাতে ধরে ফেলেন। শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। গগনজ্যোতি পেশায় ফিজিওথেরাপিস্ট। ফেসবুকে তাঁর পোস্ট করা ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
দালালদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু রায়। তিনি বলেন, ‘‘নিরাপত্তারক্ষীদের বলে দিয়েছি, বাইরের কোনও লোক যেন হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে ব্যবসা করতে না পারে।’’
গগনজ্যোতির অভিযোগ, বাইরে থেকে কিনলে ডাক্তারবাবুর নাম করেই রোগীকে বলা হচ্ছে, মেডিক্যাল সরঞ্জামটি ভাল নয়। ডাক্তারবাবু বদলে দিতে বলেছেন। সরঞ্জাম কেনার জন্য নির্দিষ্ট দোকানের নাম বলে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। গগনজ্যোতির কথায়, ‘‘হাসপাতালের ভিতরে দালালেরা এই কাজ করছে দীর্ঘ দিন ধরে। আমি হাসপাতালে ঢুকে সে সব ধরে ফেলি, ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দিতে বাধ্য হই।’’