টুকরো খবর

রাজনৈতিক প্ররোচনা দিয়ে বক্তব্য রাখার অভিযোগ তুলে সম্প্রতি এক শিক্ষককে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার কাকদ্বীপে সভা করলেন বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক এবং বুদ্ধিজীবীরা। বামপন্থী মনোভাবাপন্ন শিক্ষকদের সংগঠন ‘শিক্ষাক্ষেত্রে আক্রমণ প্রতিরোধ মঞ্চ’-এর উদ্যোগে এ দিন বিকেলে কাকদ্বীপ চৌরাস্তা মোড়ে ওই সভা হয়।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:২২
Share:

শিক্ষককে মারধর, প্রতিবাদে সভা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাকদ্বীপ

Advertisement

রাজনৈতিক প্ররোচনা দিয়ে বক্তব্য রাখার অভিযোগ তুলে সম্প্রতি এক শিক্ষককে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার কাকদ্বীপে সভা করলেন বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক এবং বুদ্ধিজীবীরা। বামপন্থী মনোভাবাপন্ন শিক্ষকদের সংগঠন ‘শিক্ষাক্ষেত্রে আক্রমণ প্রতিরোধ মঞ্চ’-এর উদ্যোগে এ দিন বিকেলে কাকদ্বীপ চৌরাস্তা মোড়ে ওই সভা হয়। উপস্থিত ছিলেন চিত্রশিল্পী সমীর আইচ, আইনজীবী সুব্রত ভট্টাচার্য, এবিটিএ-র জেলা সম্পাদক রবীন রায়, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান হরপ্রসাদ সমাদ্দার প্রমুখ। প্রহৃত ইংরেজি শিক্ষক গৌতম মণ্ডল নিজেও সভায় উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার পরে এ দিনই প্রথম স্কুলে যান গৌতমবাবু। সমীরবাবু বলেন, “ডান-বাম যে রাজনৈতিক দলই হোক, তারা সঠিক শিক্ষা দেয় না। সবাই ভোটের রাজনীতি করে।” গৌতমবাবুকে দেখিয়ে তিনি বলেন, “আমি ছুটে এসেছি ওঁর জন্য। বাম আমালে মানুষ পথে বেরোতে নিরাপত্তার অভাব বোধ করত। তখনও আমরা পথে নেমেছি। এখনও একই কারনে পথে নামছি। শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনা শুধু এখানে নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই ঘটছে। শিক্ষক সঠিক কথা বললে তাঁকে নিগৃহিত হতে হচ্ছে। আমরা কোন রাজত্বে বাস করছি!” আইনজীবি সুব্রতবাবু বলেন, “মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছে এই সরকার। এর প্রতিকার করতে সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে।” গত ২৬ জানুয়ারি কাকদ্বীপের শিবকালীনগর ঈশান মেমোরিয়াল হাইস্কুলের শিক্ষক গৌতমবাবু রাজনৈতিক ‘প্ররোচনামূলক’ বক্তৃতা করেছেন, এই দাবিতে তৃণমূলের সমর্থকেরা তাঁর উপর হামলা চালায়। নিরাপত্তার কারনে তারপরে আর স্কুলে যাননি তিনি। সোমবার স্ত্রীকে নিয়ে তিনি স্কুলে যান। ক্লাসও নেন। তিনি জানান, রাস্তায় পুলিশি টহল ছিল। বাইরে বা স্কুলে তাঁর কোনও সমস্যা হয়নি। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে।

Advertisement

ভাল ভাষণ দিতে পারি না বলে হিংসা হয়, মুনমুন
নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ

ঘড়ির কাটায় তখন বিকেল ৫টা ২০ মিনিট। পরনে ঘিয়ে শাড়ি, লাল ব্লাউজ, তার সঙ্গে মানানসই কপালে বড় লাল টিপ। গাড়ির ভিতর থেকেই হাত নাড়ছেন তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী মুনমুন সেন। সোমবার মছলন্দপুরের রামকৃষ্ণ পাঠাগারের মাঠে তখন অভিনেত্রীকে দেখার জন্য ভিড় উপচে পড়ছে। কেউ ব্যস্ত ছবি তুলতে। কেউ আবার তাঁকে ছোঁয়ার চেষ্টা করছেন। এই অবস্থাতেই কর্মীরা ভিড় ঠেলে মুনমুনকে মঞ্চে নিয়ে আসেন। কিন্তু গাড়ি থেকে মঞ্চে আনতে কর্মীদের একপ্রকার হিমসিম খেতে হয়।

সেলফিতে ব্যস্ত সাংসদ। ছবি: শান্তনু হালদার।

মঞ্চে উঠার পরেও স্থানীয় নেতানেত্রীরা নিজের মোবাইলে তাঁর সঙ্গে ছবি তুলতে ব্যস্ত। এ দিন তৃণমূলের প্রচারে এই সভায় মঞ্চে উপস্থিত শঙ্কুদেব পণ্ডা ও বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারকে উদ্দেশ করে মুনমুন বলেন, “আমি ওদের মতো ভাষণ দিতে পারি না। সে কারণে আমার হিংসা হয়।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে “উনি আমার মায়ের জন্য অনেক কিছু করেছেন। সে সব কথা কোনও দিন ভুলতে পারব না।

ভোটের প্রচারে কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্র।—নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement