বাড়িতে লাল্টু নস্কর। নিজস্ব চিত্র
চিকিৎসার জন্য টিকিট কাটতে গিয়ে টাকা কম পড়েছিল বলে এটিএমে টাকা তুলতে গিয়েছিলেন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত লাল্টু নস্কর। নতুন ব্যবস্থায় টাকা তুলতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছিল তাঁর। তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে এক যুবক।
টিকিট কেটে বাড়ি যাওয়ার পথে বুঝতে পারেন তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক দফায় উধাও হয়ে গিয়ছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। পরে দেখেন তাঁর এটিএম কার্ডটি বদলে তাঁকে অন্য একটি কার্ড ধরিয়ে দিয়েছিল সাহায্যকারী যুবক। ক্যানিং এলাকার ঘটনা। শনিবার ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসন্তীর সোনাখালি দাসপাড়ার বাসিন্দা পেশায় মুহুরি লাল্টু ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত। অসুস্থতার জন্য তিনি কানে ভাল শোনেন না। চিকিৎসার জন্য তাঁকে নিয়মিত বেঙ্গালুরুতে যেতে হয়। আগামী শুক্রবার বেঙ্গালুরুর ‘নিমহ্যান্স’ হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা।
বেঙ্গালুরু যাওয়ার জন্য শনিবার ক্যানিং স্টেশনে টিকিট কাটতে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু টিকিট কাটতে গিয়ে টাকা কম পড়ে। সেই জন্য বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএমে টাকা তুলতে যান তিনি। বর্তমানে ওই এটিএমে কার্ড ‘সোয়াইপ’ করে টাকা তোলা যায় না। টাকা না তোলা পর্যন্ত এটিএম যন্ত্রেই আটকে থাকে কার্ডটি।
এর আগে এই যন্ত্রে টাকা তোলেননি তিনি। তাঁকে সমস্যায় পড়তে দেখে এগিয়ে আসেন এক যুবক। দু’বারে মোট তিন হাজার টাকা তাঁকে তুলে দেন তিনি। টিকিট কেটে বাড়ি ফেরার পথে মোবাইল মেসেজ পান যে, কয়েক দফায় তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৪৬ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। বাড়ি ফিরে দেখেন টাকা টোলার পরে ওই যুবক যে কার্ডটি তাঁকে ফেরত দেন, সেটি একই ব্যাঙ্কের হলেও তাঁর কার্ড নয়। তার পরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তবে রবিবার রাত পর্যন্ত ওই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, শনি ও রবিবার ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
এই ঘটনার পরে ভেঙে পড়েছেন লাল্টু। চিকিৎসার জন্য ওই টাকা তিনি জোগাড় করেছিলেন। এখন কীভাবে চিকিৎসার খরচ যোগাবেন তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছিন তিনি।