অনুব্রতের অসুস্থতা নিয়ে মন্তব্য করেন বিজেপি বিধায়ক। ফাইল ছবি।
বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের ‘বিষ ইঞ্জেকশন’ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁর নামে থানায় এফআইআর দায়ের করল তৃণমূল। সোমবার বনগাঁ তৃণমূল জেলা সভাপতি গোপাল শেঠ এফআইআরে অভিযোগ করেছেন, বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মানহানি হয়েছে এবং তাঁর ওই মন্তব্য কুরুচিকর।
হাসপাতালে বিষ প্রয়োগে মেরে ফেলা হতে পারে তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। এমনই মন্তব্য করেছিলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। তাঁর দাবি, অনুব্রত সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলে বহু ‘কুকীর্তি’ প্রকাশ্যে আনবেন। তাই তাঁকে মেরে ফেলা হতে পারে। বিজেপি বিধায়কের এই মন্তব্যের নিন্দায় মুখর হয় তৃণমূল।
স্বপনের বক্তব্য, ‘‘বগটুই-কাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড অনুব্রত মণ্ডল এখন পেট ফুলিয়ে উডবার্ন ওয়ার্ডে শুয়ে আছেন। আমার তো মনে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে তাঁকে আর ফিরতে দেবেন না। তার কারণ যদি উনি ফেরেন, তা হলে সিবিআইয়ের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সব কুকীর্তি উগরে দিতে হবে। তা হলে ভাইপো, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সকলে জেলে যাবে। অনুব্রত মণ্ডল ভাবছেন, উডবার্ন ওয়ার্ডে শুয়ে শুয়ে সিবিআইয়ের হাত থেকে বেঁচে যাবেন। কিন্তু তা হবে না। আগামিদিনে ওঁকে সিবিআইয়ের দরজায় যেতে হবে, না হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষাক্ত ইঞ্জেকশনে মরতে হবে। কারণ তৃণমূল ক্ষমতায় থাকার জন্য সব কিছু করতে পারে।’’
স্বপনের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূলের গোপাল। তাঁর অভিযোগ, ‘‘যে ভাবে ওই বিজেপি বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর নাম জড়িয়ে অনুব্রতকে মেরে ফেলার কথা বলেছেন, তাতে বিজেপি অনুব্রতকে কোনও ভাবে খুন করে তৃণমূলের নামে দোষ চাপানোর চেষ্টা করতে পারে বলে আমরা সন্দেহ প্রকাশ করছি। তাই পুলিশের কাছে নিরপেক্ষ তদন্ত করার আবেদন জানিয়ে এই অভিযোগ করেছি।’’ অন্য দিকে, এ নিয়ে বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন মজুমদারের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ না করে বনগাঁয় বাড়ি পিছু কাটমানি নিচ্ছেন, সেগুলো বন্ধ করুন উনি। যিনি আমার নামে অভিযোগ করেছেন, তিনি এক বার তাকিয়ে দেখুন বাংলায় কী চলছে।’’