মশার দাপট রুখতে সরকারি উদ্যোগে ভরসা না রেখে এ বার পথে মানুষ
Dengue

সুস্থ না হলে ছুটি নয়, বলল হাসপাতাল

রোজ নতুন নতুন জ্বরে আক্রান্ত রোগীর ভিড় বাড়ছে। অথচ পাশেই রয়েছে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। কয়েক মাস আগে তার ঘটা করে উদ্বোধন হয়েছে। সেখানে কেন রোগী ভর্তি করা হবে না, প্রশ্ন তুলেছেন রোগীর আত্মীয়েরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:০৬
Share:

বনগাঁ হাসপাতালের অবস্থা। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

হাসপাতালে ভর্তি জ্বর বা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত কোনও রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা না পর্যন্ত তাঁকে ছুটি দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিল বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

রোগীকল্যাণ সমিতির সমিতির বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত হয়েছে। হাসপাতাল সুপার শঙ্করপ্রসাদ মাহাতো বলেন, ‘‘কোনও রোগীর শরীরে জ্বর না থাকলেও তাঁকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে রেখে তারপরে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হবে।’’

সম্প্রতি জ্বর নিয়ে ভর্তি হওয়া এক নাবালিকা ও এক মহিলাকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। তাঁরা বাড়ি ফিরে যাওয়ার পরে ফের অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছেন। এমন ঘটনাও ঘটছে, জ্বর নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের ছুটি দেওয়ার পরে ফের বাড়ি থেকে এনে ভর্তি করতে হচ্ছে হাসপাতালে। ওই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ জানান রোগীর আত্মীয়েরা। ওয়ার্ডে ভিড় কমাতে রোগীরা একটু সুস্থ হলেই চিকিৎসকেরা তাঁদের ছুটি দিয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

এ কথা ঠিক, জ্বরে আক্রান্ত রোগীর ভিড়ে উপচে পড়ছে বনগাঁ হাসপাতালের বেড, মেঝে। একই শয্যায় ঠাসাঠাসি করে রাখা হচ্ছে তিন-চারজনকে। ওয়ার্ডের মধ্যে চিকিৎসক, নার্সরা ঠিকমতো চলাফেরাই করতে পারছেন না। শনিবার হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন প্রায় ২৩০ জন রোগী। যার মধ্যে ৭০ শতাংশ রোগী জ্বরের। অথচ শয্যা মাত্র ৮৫টি।

রোজ নতুন নতুন জ্বরে আক্রান্ত রোগীর ভিড় বাড়ছে। অথচ পাশেই রয়েছে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। কয়েক মাস আগে তার ঘটা করে উদ্বোধন হয়েছে। সেখানে কেন রোগী ভর্তি করা হবে না, প্রশ্ন তুলেছেন রোগীর আত্মীয়েরা। বিষয়টি নিয়ে রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠকে সরব হয়েছেন বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ। তিনি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীকে বিষয়টি জানিয়েছেন। শঙ্করবাবু বলেন, ‘‘সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালটি এখনও স্বাস্থ্য দফতর হাতে হস্তান্তর হয়নি। তবে যে সংস্থা হাসপাতাল তৈরির কাজ করছে, তারা জানিয়েছে ওখানে এখন রোগী ভর্তি শুরু করা যেতে পারে। শুধু প্রয়োজন, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অনুমতি। বিষয়টি তাঁকে জানানো হয়েছে।’’ তবে মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক রাঘবেশ মজুমদার জানিয়েছেন, সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে রোগী ভর্তির বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন। রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে রোগী ভর্তি বিষয়ে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement