নিশা সাউ।
বাড়ির রান্নাঘর থেকে উদ্ধার হল গৃহবধূর রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ঘোলা থানা এলাকার রূপায়ণনগরে। মৃতার নাম নিশা সাউ (২৪)। তাঁর দুই হাতের কব্জি ও গলায় গভীর ক্ষতের দাগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। ওই ঘটনার পরে নিশার স্বামী বিনোদ সাউকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। বিনোদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতার পরিবার।
পুলিশ জানিয়েছে, নিশার পরিবার থাকে টিটাগড়ে। বিনোদের বাড়ি কামারহাটিতে। গত বছর বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন তাঁরা। রূপায়ণনগরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। পুলিশকে বিনোদ জানিয়েছেন, ঘটনার রাতে বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন, দরজায় তালা ঝুলছে। স্ত্রীর সাড়াশব্দ নেই। সেই খবর ফোনে নিশার পরিবারকে জানান বিনোদ। এর পরে রাত পৌনে ১টা নাগাদ পুলিশ এসে বাড়ির দরজা ভাঙে। রান্নাঘরের ভিতর থেকে মুখে বালিশ চাপা দেওয়া অবস্থায় নিশার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর গলায় ও দু’হাতের কব্জিতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলেই প্রাথমিক ভাবে অনুমান পুলিশের। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ঘোলা থানার পুলিশ।
নিশার পরিজনেদের দাবি, তাঁকে খুন করার পরে পুলিশের চোখে ধুলো দিতেই বিনোদ বাড়ির দরজা বন্ধ থাকার গল্প ফেঁদেছেন। বিনোদের দাদা মনোজ সাউয়ের অবশ্য দাবি, ‘‘আমার ছোট ভাই বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা থাকত। ওদের মধ্যে কোনও অশান্তি ছিল না। ভাই যেখানে গাড়ি চালায়, কাজ সেরে সেখান থেকে অনেক রাতেই বেরিয়েছিল। ভাই কোনও ভাবেই খুনের সঙ্গে জড়িত নয়।’’