উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে মৎস্যজীবী অনাদি শাসমলের দেহ। নিজস্ব চিত্র।
বকখালিতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ এক মৎস্যজীবীর দেহ উদ্ধার হল বৃহস্পতিবার। রাতেই তাঁর দেহ ফ্রেজারগঞ্জ বন্দরে নিয়ে আসা হয়৷ মৃতের নাম অনাদি শাসমল। তিনি নামখানার হরিপুর এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, অনাদির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাকদ্বীপ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর দেহটি পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
বুধবার ভোরে বঙ্গোপসাগরে ভুবনেশ্বরী চরের কাছে ঢেউয়ের দাপটে উল্টে গিয়েছিল মৎস্যজীবী ট্রলার ‘এফবি হৈমবতী’। ট্রলারে থাকা দু’জন মৎস্যজীবীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলেও নিখোঁজ ছিলেন ১০ মৎস্যজীবী। দিনভর তল্লাশি অভিযান চালিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলারটি বুধবার রাতের মধ্যে উপকূলে নিয়ে আসেন উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং উপকূল থানার পুলিশ। সেই ট্রলারের কেবিন থেকেই উদ্ধার হয় ৯ মৎস্যজীবীর মৃত দেহ। তবে নিখোঁজ ছিলেন মৎস্যজীবী অনাদি।
বৃহস্পতিবার সমুদ্রে মাছ ধরার সময় জম্বু দ্বীপের কাছে একটি দেহ ভাসতে দেখেন মৎস্যজীবীরা৷ খবর দেওয়া হয় উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং উপকূলের পুলিশকে। পরে দেহটি উদ্ধার করে ফ্রেজারগঞ্জ বন্দরে নিয়ে আসা হয়। কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন-এর সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, “ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ সব মৎস্যজীবীরই দেহ উদ্ধার হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর দেহ তুলে দেওয়া হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের হাতে।”