—প্রতীকী ছবি।
এক মাসের মধ্যে লোকসভা নির্বাচনের ব্লক ভিত্তিক ফলাফল চাইলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সোমবার বিকেলে মধ্যমগ্রামে দলীয় কার্যালয়ে বারাসত লোকসভার অন্তর্গত গ্রাম ও শহরের নেতা, জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ।
তৃণমূল সূত্রের খবর, দেগঙ্গা-সহ বেশ কিছু বিধানসভা এলাকায় আইএসএফের শক্তি বৃদ্ধি হয়েছে। বামেদের তুলনায় আইএসএফ ভোট বেশি পেয়েছে। তেমনই ভোট বৃদ্ধি হয়েছে বিজেপিরও। বারাসত পুরসভা-সহ বেশ কিছু পুর এলাকায় তৃণমূলের কার্যত হার হয়েছে। কেন এই হার তার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই কারণে এ দিন কাকলি ও রথীন ওই বৈঠক করেন। তৃণমূলের বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি কাকলি নির্দেশ দেন, ব্লকভিত্তিক নির্বাচনের ফলাফলের তালিকা তৈরির। সেখানে হারের ও ভোট কমে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। এক মাসের মধ্যে তা জমা দিতে বলা হয়েছে জেলা নেতৃত্বকে।
বৈঠক নিয়ে কাকলি বা রথীন কোনও মন্তব্য সংবাদমাধ্যমের সামনে করতে না চাইলেও তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, বৈঠক চলাকালীন বারাসত ও মধ্যমগ্রামের দুই নেতার মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। মধ্যমগ্রামের এক নেতা বারাসত পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩০টি ওয়ার্ডে হার হয়েছে কেন তা উল্লেখ করতেই গলা চড়ান বারাসতের এক নেতা। তিনি পাল্টা বলেন, মধ্যমগ্রাম পুরসভার ২৮টা ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টিতে হার হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত থাকা এক তৃণমূল নেতা পরে বলেন, ‘‘এ দিন গ্রামের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন না, নইলে অশান্তি আরও চরমে উঠত। কারণ, বারাসত লোকসভায় শহরের থেকে গ্রামের ভোটাররা বেশি ভোট দিয়েছেন এবং প্রার্থীকে জিতিয়েছেন। তার পরেও শহরের নেতারা অনেক সময় চড়া স্বরে কথা বলেন!’’