শুভেন্দু অধিকারী (বাঁ দিকে) এবং সুকান্ত মজুমদার। —ফাইল চিত্র।
বসিরহাট থেকে জিততে সন্দেশখালি বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে এক লক্ষ ভোটের লিড চাই। ন্যাজাটের সভা থেকে জনতার উদ্দেশে আর্জি জানিয়ে বললেন সুকান্ত।
ব্রিগেডে জনগর্জনের সভা থেকে বিজেপিকে বাংলা বিরোধী বলে তোপ দেগেছিল তৃণমূল। ন্যাজাটের সভা থেকে পাল্টা দিল বিজেপি। সুকান্ত বলেন, “নরেন্দ্র মোদী বহিরাগত? মোদী বেশি বাঙালি। তিনি বাংলার মা-বোনেদের সম্মান দিতে জানেন।” সব চোর ব্রিগেডে যাবে বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
লোকসভা নির্বাচনে মানুষ তৃণমূলকে শিক্ষা দেবে বলে জানিয়ে সুকান্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বললেন, “আগামীর রায়, চোর ভাইপোর বিদায়।”
বক্তব্য রাখতে উঠেই তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিহারে ভাইপো তেজস্বীকে ছেড়ে নীতীশ কুমারের বিজেপিতে যোগদানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সুকান্ত স্লোগান দেন, “খেলা হল বিহারে, ভাইপো যাবে তিহাড়ে।”
ন্যাজাটের সভা থেকে শাহজাহান শেখকে তোপ দেগে শুভেন্দু বলেন, “শুধু শাহজাহানকে গ্রেফতার করলেই চলবে না।” বেশ কয়েকটি নাম উল্লেখ করে শুভেন্দুর দাবি, এঁদেরকেও গ্রেফতার করতে হবে। শুভেন্দুর আরও দাবি, নরেন্দ্র মোদী গরিব মানুষকে যে রেশন সামগ্রী দিয়েছিলেন, তা লুট করেছে শাহজাহান বাহিনী। মুখ্যমন্ত্রীকে ‘শাহজাহানের মাসি’ বলেও কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা।
সারা রাজ্যে ২৫-৩০টি সন্দেশখালি রয়েছে। ন্যাজাটের সভায় দাবি শুভেন্দুর।
সন্দেশখালিতে কেন আসেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? ন্যাজাটের সভা থেকে প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর।
সন্দেশখালির সঙ্গে গোটা ভারতবর্ষ রয়েছে। ন্যাজাটের সভা থেকে বললেন শুভেন্দু।
বিজেপির সভায় যোগ দিতে বিজেপি কর্মীসমর্থকেরা সন্দেশখালির সর্দারপাড়া ফেরিঘাট থেকে নৌকায় চেপে ন্যাজাটের সভাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন।
১০ মার্চ সন্দেশখালিতে সভা করার ডাক দিয়েছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। এর পরেই সন্দেশখালিতে সভা করতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা। বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দেয় আদালত। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চ জানায়, আগামী ১০ মার্চ অর্থাৎ রবিবার সন্দেশখালি গিয়ে সভা করতে পারবেন শুভেন্দু। আদালত একই সঙ্গে জানায়, কোনও ভাবেই সভা থেকে উস্কানিমূলক কোনও মন্তব্য করা যাবে না। তবে যে জায়গায় শুভেন্দু সভা করতে চেয়েছিলেন, সেখানে সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। ন্যাজাটের দক্ষিণ আক্রাতলায় শুভেন্দু সভা করতে পারেন বলে বিচারপতি সেনগুপ্তের বেঞ্চ জানায়।