বনগাঁয় তৃণমূলের মিলন মেলা। নিজস্ব চিত্র।
বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের হাত ধরে তাঁর এক ঝাঁক অনুগামী এ বার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। বিশ্বজিৎ শিবিরের দাবি, শুক্রবার বনগাঁ মহকুমায় বিজেপি-র জেলা এবং মণ্ডল-স্তরের নেতা-সহ মোট ২,২০০ জন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী কাকলি ঘোষদস্তিদারের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা নিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ। শুক্রবার বনগাঁ বাটার মোড়ে ‘মিলন মেলা’ কর্মসূচিতে জোড়াফুল শিবিরে শামিল হন তাঁর অনুগামীরা। তৃণমূলে যোগদানকারী বনগাঁ-উত্তর পৌরমণ্ডল বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি শোভন বৈদ্য বলেন, ‘‘জেলা সভাপতির সঙ্গে সাংসদের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে বিজেপি-র অন্দরের পরিবেশ দূষিত হয়ে গিয়েছে। তাই আমরা তৃণমূলে যোগদান করছি।’’
বনগাঁর পাঁচটি বিধানসভা নিয়ে সম্প্রতি গঠিত হয়েছে বনগাঁ তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক জেলা । সভাপতি করা হয়েছে আলোরানি সরকারকে। তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন দেখে দলে দলে বিজেপি কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন। আগামী দিনেও সেই ধারা বজায় থাকবে।’’
অন্যদিকে, বিশ্বজিৎ এবং তাঁর অনুগামীদের দলত্যাগ সম্পর্কে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘‘বিশ্বজিৎ দাসকে বাগদায় টিকিট দেওয়ার ব্যাপারে প্রথম থেকেই আমার আপত্তি ছিল। যাঁরা বিশ্বজিৎকে টিকিট পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন, তাঁরা এখন তৃণমূলে চলে গিয়েছেন। বাগদায় উপনির্বাচন হলে ফের বিজেপি জিতবে।’’