সুবিধা করতে পারল না বিরোধীরা

সেখানে সিপিআই ১টি, সিপিএম ৩টি, বিজেপি ৩টি, বিএসপি ১টি এবং নির্দল ২টি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৮ ১৩:০৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিরোধীরা বলছে, সবই লোক দেখানো। এ বারও তো ঠেঙিয়ে আর ভয় দেখিয়েই বিদেয় করে দিল ওরা। শাসক দলের মত, প্রার্থী জোগাড় করতে না পেরে উল্টোপাল্টা বলছে বিরোধী দলগুলি। অযথাই বদনাম করছে। আদালতের নির্দেশে মনোনয়নের জন্য বাড়তি একটা দিন পেলেও চুম্বকে এই হল চাপানউতোরের নির্যাসটুকু।

Advertisement

উত্তর ২৪ পরগনায় জেলা পরিষদের ৫৭টি আসনে এর আগে ২৩৮টি মনোনয়ন জমা পড়েছিল। ২৩ তারিখ নতুন করে জমা পড়েছে ১০টি। সেখানে সিপিআই ১টি, সিপিএম ৩টি, বিজেপি ৩টি, বিএসপি ১টি এবং নির্দল ২টি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছে।

তবে চিত্রটা পঞ্চায়েত সমিতি বা গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে ভিন্ন। পঞ্চায়েত সমিতির ৫৫৪টি আসনের মধ্যে নতুন করে মাত্র ২টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতে পড়েছে ৩০টি। এই সংখ্যার বেশির ভাগটাই নির্দল। বিরোধীদের দাবি, আসলে তৃণমূলই বেশির ভাগ আসনে ‘নির্দল’ হিসাবে মনোনয়ন দিয়েছে। এর জেরে ফলাফলে হেরফের হওয়ার কথা নয়। বস্তুত, জেলা পরিষদে যে ২টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল তৃণমূল, সে দু’টির ক্ষেত্রে নতুন করে কোনও মনোনয়ন জমা পড়েনি। পঞ্চায়েত সমিতির ১০৮টি বিনা লড়াইয়ে এসেছিল তৃণমূলের ঝুলিতে। সেখানে মনোনয়নের দিন বাড়িয়ে দু’টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এ বার হবে ঠিকই, কিন্তু ওই দু’টি ক্ষেত্রেই মনোনয়ন জমা পড়েছে নির্দলের হয়ে। বিরোধীদের মতে, যা বকলমে আসলে তৃণমূলেরই এক গোষ্ঠীর মনোনয়ন।

Advertisement

সিপিএম নেতা ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, ‘‘সাসক দলের লোকজন বাড়ি বাড়ি গিয়ে শাসিয়ে এসেছে। তবু তারই মধ্যে যতটুকু সম্ভব হয়েছে, আমরা মনোনয়ন দিয়েছি।’’ জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘তৃণমূল যে ভাবে দাঁত-নখ বের করল, তাতে বোঝাই যাচ্ছে, গণতন্ত্রের উপরে ওদের কোনও আস্থাই নেই।’’

বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছেন শাসক দলের নেতারা। জেলা তৃণণূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে কোথাও কোনও গোলমাল হয়নি। বিরোধীরা ভোটে দাঁড় করানোর মতো লোক খুঁজে না পেয়ে এ সব বদনাম করছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement