প্রতীকী ছবি।
পাত্রী পছন্দ না হওয়ায় বিয়ে হচ্ছিল না। পছন্দ হচ্ছিল না নতুন তৈরি করা বাড়িও। সেটি ভেঙেচুরে তৈরির ইচ্ছা ছিল।
এই সব নিয়ে নিজের দিদিকে দায়ী করত ভাই। তাই নিয়ে মন কষাকষি। শেষমেশ দিদিকে খুনের অভিযোগ উঠল ওই যুবকের বিরুদ্ধে।
বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের মাটিয়া থানার খোলাপোতার উত্তর মথুরাপুর গ্রামে। নিহতের নাম সালেয়া বিবি (৪৫)। ক্ষুব্ধ জনতা তাঁর ভাই মনিরুল মণ্ডলকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। বছর পঁয়ত্রিশের যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সালেয়া বিবিরা চার ভাইবোন। ছোট ভাই মনিরুল এক সময়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করত। এখন মুরগি-পায়রা কেনাবেচা করে। এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দারা চিৎকার শুনে গিয়ে দেখেন, দিদি সালেয়াকে শাবল-কোদাল দিয়ে কুপিয়ে খাটে বসে রয়েছে মনিরুল। তখনও মাটিতে পড়ে ছটফট করছিলেন ওই মহিলা। রক্তে ঘর ভেসে যাচ্ছিল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান সালেয়া।
তাঁর এক বোন আলেয়া বলেন, ‘‘নতুন করা বাড়ি মনিরুলের পছন্দ হচ্ছিল না। সে এক সময়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করত। তাই বোধ হয় বাড়ি নিয়ে খুঁতখুঁতে হয়ে উঠেছিল। ওর বিয়ের জন্য মেয়ে দেখা হচ্ছিল। কিন্তু কাউকেই মনে ধরছিল না। ফলে বিয়েও পিছিয়ে যাচ্ছিল।’’ তাঁর দাবি, ভাই মনে করত, এ সবের জন্য দিদিরা দায়ী। মাঝে মধ্যে ঝগড়া বাধিয়ে খুনের হুমকি দিত বলেও অভিযোগ। পরিবারটির দাবি, মানসিক ভাবে পুরোপুরি সুস্থ নয় মনিরুল। চিকিৎসাও চলছিল। ইদানীং কিছুটা ভাল ছিল। কিন্তু বদরাগী মনিরুলের ভয়ে এক ভাই জাহাঙ্গির শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। বাকিরাও আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন।
সালেয়ার মেয়ে পাপিয়া বলেন, ‘‘মামা এমনিতে মাঝে মধ্যে রেগে যেত। আলাদা সংসার হলেও মা ওকে দু’বেলা খাবার দিত। এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ খাবার-ওষুধ দিতে গেলে মাকে কুপিয়ে মেরে ফেলে মামা।’’