ধৃত: চিরঞ্জিত ওরফে চিরন
তাঁকে খুনের চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে কিছুদিন আগে পুলিশকে চিঠি দিয়েছিলেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস। বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপারের কাছে ১১ অক্টোবর এই চিঠি পাঠান তিনি। তদন্তে নেমে ক্যানিং থানার পুলিশ শুক্রবার রাতে মূল অভিযুক্ত চিরঞ্জিৎ হালদার ওরফে চিরনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার বারুইপুর থানার বেতবেড়িয়ায় শ্বশুরবাড়িতে এসেছিল চিরন। খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এর আগেও একবার বিধায়ককে খুনের পরিকল্পনা করেছিল বলে চিরঞ্জিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। সেবারও বিধায়ক নিজে সেই অভিযোগ করেছিলেন। গ্রেফতারও হয়েছিল চিরন।
কয়েক মাস জেল খাটার পরে বর্তমানে জামিনে ছাড়া ছিল। ফের সে পরেশরামকে খুনের পরিকল্পনা করছে বলে বিধায়ক নিজেই পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ হন।
পুলিশের ভূমিকায় আশ্বস্ত পরেশরাম। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ-প্রশাসনকে ধন্যবাদ, দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ করার জন্য। চিরঞ্জিত বিজেপি, আরএসএস করে। সে কারণেই আমাকে খুনের পরিকল্পনা করছে।”
যদিও চিরঞ্জিতকে দলের সক্রিয় কর্মী বলে মানতে চায়নি বিজেপি। দলের সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উৎপল নস্কর বলেন, ‘‘চিরঞ্জিত কখনওই আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী নয়। ২০২১ সালে বিজেপির হাওয়া ভাল থাকায় ও তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল। কিন্তু আদতে ও তৃণমূলেরই লোক। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ রয়েছে ক্যানিংয়ে। তার জেরেই বিধায়ক নিজের প্রাণসংশয়ের ভুগছেন।’’ তৃণমূলের সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জয়দেব হালদার জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল নেই। পুলিশ তদন্ত করে সত্য উদ্ঘাটন করুক।
ক্যানিংয়ের এসডিপিও দিবাকর দাস বলেন, “বিধায়ক একটি অভিযোগ করেছিলেন। তদন্তে নেমে ক্যানিং থানার পুলিশ শুক্রবার রাতে বেতবেড়িয়া থেকে গ্রেফতার করেছে চিরঞ্জিৎকে। ধৃতকে আমরা নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এ বিষয়ে আরও তদন্ত করব।” — নিজস্ব চিত্র