—প্রতীকী চিত্র।
নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণে সৎবাবাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিল বারুইপুরের আদালত। বুধবার বারুইপুর আদালতের অতিরিক্ত জেলা বিচারক সন্দীপকুমার মান্না এই রায় দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, সাজাপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তির অপরাধ সামনে আসে ২০২২ সালের মে মাসে। বারুইপুরের বাসিন্দা ওই নাবালিকা তার মা, ভাই এবং সৎবাবার সঙ্গে একই বাড়িতে থাকে। নাবালিকার মা আয়ার কাজ করেন। তাঁর অনুপস্থিতির সুযোগে প্রায়ই সৎমেয়েকে ধর্ষণ করত ওই ব্যক্তি। গত বছরের ১০ মে পুরো বিষয়টি জানতে পারেন নাবালিকার মা। দুপুরে কাজ থেকে তাড়াতাড়ি ফিরে এসে স্বামীকে হাতেনাতে ধরেন তিনি। স্ত্রী দেখে ফেলায় পালিয়ে যায় ওই ব্যক্তি। এর পরে ওই নাবালিকা তার মাকে সব খুলে বলে। এ-ও জানায়, মাস দুয়েক ধরে সৎবাবা তাকে ধর্ষণ করেছে। অভিযুক্ত ভয় দেখিয়ে মেয়ের মুখ বন্ধ করে রাখায় মাকেও কিছু জানায়নি সে।
এর পরেই মেয়েকে নিয়ে বারুইপুর থানায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করে।
সেই মামলারই রায় বেরোয় এ দিন। সরকার পক্ষের আইনজীবী অতসী হালদার সাহা বলেন, ‘‘কারাদণ্ডের পাশাপাশি ওই ব্যক্তিকে দশ হাজার টাকা জরিমানারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছ’মাস জেলে থাকতে হবে তাকে। এর পাশাপাশি নাবালিকা মেয়েকে ভয় দেখানোর মামলাতেও এক বছর কারাদণ্ড এবং এক হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’