ছবি: সংগৃহীত
রাস্তায় বসানো বড় বাক্স। তাতেই নিজেদের অভাব-অভিযোগ কিংবা বিশেষ তথ্য লিখে চুপিসারে ফেলে দিতেন সাধারণ মানুষ। গোপন থাকত অভিযোগকারীর পরিচয়। সেই চিঠি বা আবেদন দেখে ব্যবস্থা নিতেন এক দিনের মুখ্যমন্ত্রী শিবাজী রাও।
তামিল ছবির হিন্দি রিমেক ‘নায়ক’ সিনেমার সেই পথই যেন অনুসরণ করছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের নিমতা থানা। থানার মূল গেটের সামনেই দেওয়ালে টাঙানো রয়েছে চিঠির বাক্স। যার গায়ে লেখা, ‘অভিযোগ বাক্স’। তার পাশেই দেওয়ালে লেখা অভিযোগ না নেওয়া হলে নিম্নলিখিত নম্বরে ফোন করুন। সূত্রের খবর, প্রতিটি থানাতেই বছর কয়েক আগে থেকে এমন একটি করে বাক্স লাগানো হয়েছে। কিন্তু সে সব ততটা কার্যকর নয়। মাস তিনেক আগে নিমতা থানায় যোগ দিয়েই ওই অভিযোগ বাক্সের উপর জোর দেন ওসি শিবেন্দু ঘোষ। তিনি জানান, অনেকেই পরিচয় গোপন করে অভিযোগ জানাতে চান, তাঁদের সাহস দিতেই বাক্সটির বিষয়ে জোর দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রতি মাসের নির্দিষ্ট দিনে খোলা হয় ওই বাক্স। তিন মাসে অনেক চিঠির থেকে বাছাই করে কয়েকটির ক্ষেত্রে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। যেমন, জমা অভিযোগের সূত্রেই নিমতা থানা এলাকায় নকল জল তৈরির কারখানায় পুলিশ হানা দেয়। ছোটফিঙা এলাকায় সন্ধ্যা নামলেই সন্দেহভাজন বহিরাগতদের জমায়েতের খবর পেয়ে নজরদারি শুরু হয় এই বাক্সের খবর থেকেই। এক ব্যক্তিকে তাঁর আবাসনের কয়েক জন টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। সেই অভিযোগ পেয়ে আবাসনে হানা দেয় পুলিশ। ব্যারাকপুরের ডেপুটি কমিশনার (জ়োন-২) আনন্দ রায়ের কথায়, ‘‘পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সে এমন বাক্স থাকে। তবে থানায় এই ব্যবস্থা প্রশংসনীয়। পরিচয় গোপন রেখে তথ্য জানালে সহজে এলাকার খবর পাব।’’