প্রতীকী ছবি।
সীমান্তের এ পারের গ্রামে কখনও সে দক্ষ দর্জি। কখনও তালাচাবি তৈরিতে ওস্তাদ। কোথাও তার নাম রাসেদুজ্জমান, কোথাও লোকে চেনে মহম্মদ বদরুজ্জমান বিলাস নামে।
রবিবার বসিরহাট সেতুর উপর থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার পরে বসিরহাট পুলিশ অবশ্য জানাচ্ছে, বাংলাদেশের সাতক্ষিরা সদর থানা এলাকার বাসিন্দা এই ব্যক্তির নাম বিল্লাল আহমেদ। বাংলাদেশে একাধিক অপরাধের ঘটনায় সে দেশের পুলিশ খুঁজছে তাকে। কিন্তু বছর ছ’য়েক আগে চোরাপথে এ দেশে এসে সীমান্তবর্তী স্বরূপনগরের গ্রামে নাম ভাঁড়িয়ে থাকছিল সে।
বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার কঙ্করপ্রসাদ বারুই বলেন, ‘‘বেশ কয়েকটি অপরাধে জড়িত সন্দেহে বাংলাদেশ পুলিশ বেল্লালকে খুঁজছে। তার কাছ থেকে দিল্লি এবং স্বরূপনগরের বালতি গ্রামের দু’টি ঠিকানা দেওয়া ২টি আধার কার্ড মিলেছে। বাংলাদেশ থেকে এ পারে আসার পরে সে একাধিকবার দিল্লি, গুজরাত, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র এবং বাংলাদেশে গিয়েছিল বলে নথি মিলেছে।’’ ধৃতকে সোমবার বসিরহাটের এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতের রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ছ’য়েক ধরে স্বরূপনগর সীমান্তের হাকিমপুরের আসে বেল্লাল। দর্জি পরিচয় নিয়ে বাসা ভাড়া নেয় বালতি গ্রামে। দোকানও খোলে সেখানে। পরে বিথারি গ্রামে তালা-চাবির দোকান দেয়। রবিবার রাতে বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিৎ সিংহ মহাপাত্র বাহিনী নিয়ে গিয়ে বসিরহাট ইছামতী সেতুর উপর থেকে বেল্লালকে গ্রেফতার করেন।