Bakkhali

নানা অব্যবস্থা, জৌলুষ  হারিয়ে ফেলছে বকখালি

স্থানীয় বাসিন্দা তথা বকখালি সৈকত ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য পূর্ণচন্দ্র কুঁইতি বলেন, বকখালি ‘‘পর্যটন কেন্দ্রের পরিকাঠামোর সমস্যা থাকায় পর্যটকদের অসুবিধা হচ্ছে। বিভাগীয় দফতর কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’’

Advertisement

দিলীপ নস্কর 

বকখালি শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২০ ০২:৪১
Share:

শ্রীহীন: বকখালির সৈকতে ঝাউয়ের সারির দশা। নিজস্ব চিত্র

ঝাউবন নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে সেই কবে। সমুদ্রে চর পড়ায় সৈকত থেকে প্রায় এক কিলোমিটার হেঁটে গেলে তবেই মিলবে জল। সৈকতের সামনে প্রায় ৪০ ফুট চওড়া খাল তৈরি হয়েছে। ভাটার সময়ে ওই খালে জল থাকে না। তাই শুকনো খাল পার হয়ে সমুদ্রে স্নান করতে যান লোকজন। স্নান সারতে সারতে সারতে জোয়ার এসে গেলে খাল ডুবে যায়। ফলে সমুদ্র থেকে ফিরতে গিয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ে। বহু পর্যটক তলিয়েও গিয়েছেন।

Advertisement

এই সব নানা কারণে বকখালি পিকনিক স্পটে আসার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন অনেকে। স্নান সেরে উঠে গায়ের বালি ধুয়ে ফেলার জন্য মাস কয়েক আগে গঙ্গাসাগর বকখালি উন্নয়ন পর্ষদ থেকে পিকনিক স্পটের পাশেই প্রায় ১ বিঘা আয়তনের একটি পুকুর কাটার কাজ শুরু করেছিল। সেই কাজ এখন বন্ধ। গাড়ি পার্কিং করার পর্যাপ্ত জায়গা নেই। যেখানে বসে পিকনিক সারার কথা, সেই অংশে অনেক সময়েই জল জমে যায় বৃষ্টির। আশপাশে আবর্জনার স্তূপ।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের সুবিধার জন্য পিকনিক স্পটে ঢোকার প্রায় ১ কিলোমিটার আগে ফ্রেজারগঞ্জ মোড় থেকে বকখালি পর্যন্ত ত্রিফলা আলো লাগানো হয়েছিল। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আলো লাগানোর বছরখানেক পর থেকে একটা একটা করে খারাপ হতে থাকে। বুলবুল, আমপানের পরে সব ত্রিফলাই এখন আঁধার। ফলে সন্ধ্যার পরে সারা রাস্তা অন্ধকারে ডুবে যায়।

Advertisement

বকখালিতে সরকারি ও বেসরকারি বাসস্ট্যান্ড এখনও স্থায়ী ভাবে তৈরি হয়েনি। বর্ষার সময়ে বেসরকারি বাস স্ট্যান্ড জল জমে যাওয়ায় পাকা রাস্তার উপরে বাস রাখতে হয়। তাতে রাস্তা সরু হয়ে গিয়ে যানজট তৈরি হয়।

মাস কয়েক ধরে কিছু কিছু পর্যটক আসতে শুরু করেছেন বকখালিতে। পুজোর সময়ে ভিড় আরও বাড়বে, আশা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। কিন্ত পরিকাঠামোর নানা সমস্যার জন্য পর্যটনকেন্দ্রে আকর্ষণ হারাচ্ছে বলে মনে করেন অনেকেই।

স্থানীয় বাসিন্দা তথা বকখালি সৈকত ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য পূর্ণচন্দ্র কুঁইতি বলেন, বকখালি ‘‘পর্যটন কেন্দ্রের পরিকাঠামোর সমস্যা থাকায় পর্যটকদের অসুবিধা হচ্ছে। বিভাগীয় দফতর কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’’

পিকনিক স্পটের সমস্যার কথা মেনে নিয়ে নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কল্পনা মালি মণ্ডল বলেন, ‘‘বুলবুল, আমপান ও করোনা আবহে অনেক কাজ করতে পারছি না। কারণ, অফিসে লোকরজনই ঠিকঠাক আসছেন না। পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে সমাধান করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement