গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে বাগুইআটির দুই কিশোর অতনু দে ও অভিষেক নস্করকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ ঘিরে গোটা রাজ্য তোলপাড় হয়। নিজস্ব ছবি।
বাগুইআটিতে জোড়া নাবালক খুনের ঘটনায় নয়া মোড়। এ বার রাজসাক্ষী হতে চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করলেন ওই ঘটনার মূলচক্রী হিসাবে অভিযুক্ত দিব্যেন্দু দাস।
শুক্রবার বাগুইআটি-কাণ্ডের শুনানি ছিল বারাসত আদালতে। সেই শুনানির সময়েই দিব্যেন্দুর আইনজীবী জানান, খুনের ঘটনায় রাজসাক্ষী হতে চেয়ে গোপন জবানবন্দি দিতে চেয়েছেন তাঁর মক্কেল। দিব্যেন্দুর এই আবেদন যদি শোনা হয়, তা হলে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হতে পারে বলে দাবি করেন মামলার সরকারি আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা। তিনি বলেন, ‘‘দিব্যেন্দু দাস এই খুনের ঘটনায় অন্যতম মূলচক্রী। শুক্রবার তিনি আদালতে রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। গোপন জবানবন্দিও দিতে চেয়েছেন। আমরা এতে কোনও আপত্তি জানাইনি। জবানবন্দিতে যদি দেখা যায়, উনি গোটা ঘটনায় নিজের এবং বাকিদের ভূমিকা যথার্থ ভাবে তুলে ধরেছেন, তা হলে ওঁকে রাজসাক্ষী করার ব্যাপারে আমরা এগোব।’’
দিব্যেন্দু এই মামলার রাজসাক্ষী হলে অভিযোগ প্রমাণেও কিছুটা সুবিধা হবে বলেও জানিয়েছেন অনির্বাণ। তিনি বলেন, ‘‘দণ্ড দিতে সুবিধা হবেই। কারণ, অভিযোগ প্রমাণ করার ক্ষেত্রে অনেকটা ধাপ এগিয়ে যাব আমরা।’’
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে বাগুইআটির দুই কিশোর অতনু দে ও অভিষেক নস্করকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ ঘিরে গোটা রাজ্য তোলপাড় হয়। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী এবং দিব্যেন্দুকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হয়েছেন রবিউল মোল্লা, অভিজিৎ বসু, শামিম আলি, সাহিল মোল্লা নামে আরও চার জন। তদন্তে নামে সিআইডি। সিআইডি-র দাবি, অভিযুক্তেরা মারধর এবং শ্বাসরোধ করে ওই দুই কিশোরকে খুন করে। পরে বসিরহাটের হাড়োয়া থানার কুলটি ও ন্যাজাট থানার শিরীষতলা এলাকায় দেহ ফেলে দেওয়া হয়। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, সন্দেহ যাতে কম হয়, সেই জন্য দু’টি দেহ দু’টি আলাদা জায়গায় ফেলেছিলেন অভিযুক্তেরা।