প্রতীকী ছবি
ডায়মন্ড হারবারের একটি বেসরকারি হোটেলের মধ্যে থেকে ঠাকুমা ও নাতনির অচৈতন্য দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হল। দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে নাতনিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অন্য দিকে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঠাকুমা।
দু’জনেই ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সোহিনী আইচ (২২) এবং মৃতের ঠাকুমা আভা আইচ (৬৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের নবপল্লি এলাকার বাসিন্দা ধীমান আইচ মা আভা ও মেয়ে সোহিনীকে নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের ৭৬ বাস স্ট্যান্ডের একটি আবাসিক হোটেলে ওঠেন। পরে সকাল ১০ টা নাগাদ ধীমান হোটেল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় হোটেলের রিসেপশনে বলেন, তাঁদের ঘরে প্রাতরাশ পৌঁছে দিতে। এর পরে ধীমানের ফিরতে দেরি হওয়ায় হোটেলের সার্ভিস বয় ঘরে খাবার নিয়ে গেলে দেখেন ভেতর থেকে দরজা বন্ধ।
অনেক ডাকাডাকি করলেও কোনও সাড়া না মেলায় পুলিশকে খবর দেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ হোটেলে পৌঁছে রুমের দরজা ভেঙে দেখেন ঘরের মধ্যে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে নাতনি ও ঠাকুমা। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা সোহিনীকে মৃত ঘোষণা করে। অন্য দিকে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঠাকুমা আভা।
ঘটনার পর ডায়মন্ডহারবার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক মিতুনকুমার দে হোটেলটি পরিদর্শন করেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন ওই যুবতী ও তাঁর ঠাকুমা। ঘর থেকে ঘুমের ওষুধ উদ্ধার হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরই রহস্য পরিষ্কার হবে মনে করেছ পুলিশ।