ডুবু-ডুবু: পাড়ার পথ
কয়েক দিনের বৃষ্টিতে গোটা এলাকায় জল জমে গিয়েছে। বহু পরিবার জলবন্দি। জল বের হওয়ার কোনও ব্যবস্থাও নেই। রাস্তা, বাড়ির উঠোন— সর্বত্র জল থইথই। জমা ওই জল ভেঙেই যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। খুব প্রয়োজন ছাড়া তাই ঘরের বাইরে পা রাখছেন না কেউই। অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শপল্লি এলাকার ছবিটা এমনই।
জমা জল না সরায় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। তাঁদের কথায়, প্রতি বছর বর্ষায় ভারী বৃষ্টি হলেই জলবন্দি হয়ে পড়তে হয় তাঁদের। অভিযোগ, এলাকায় কোনও নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় এই দুর্ভোগ। বাসিন্দাদের দাবি, নিকাশি নালা তৈরির দাবিতে তাঁরা বহুবার পুরসভায় স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। কিন্তু কোনও কাজই হয়নি। ফলে সমস্যাও মেটেনি।
এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, মানুষ হাঁটুসমান জল ভেঙে যাতায়াত করছেন। পানীয় জল আনতেও সমস্যা হচ্ছে। বাসিন্দারা জানালেন, প্রতি বছর জমা জল সরতে প্রায় দু’মাস সময় লাগে। জমা জলে ডেঙ্গির মশা জন্মায়। ইতিমধ্যে মশা বেড়েছেও। ফলে তাঁরা চিন্তায় রয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা স্মৃতি ব্যাপারী ক্ষোভের সঙ্গে বললেন, ‘‘এ বার বর্ষার শুরু থেকেই জল জমছে। জল দাঁড়িয়ে রয়েছে দু’সপ্তাহ হতে চলল। বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না। খাওয়ার জল আনতে সমস্যা হচ্ছে। অথচ পুরসভার তরফে জল সরানোর জন্য কোনও পদক্ষেপই করা হচ্ছে না।’’ তিনি আরও জানান, অতীতে পুরসভায় সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু সুরাহা হয়নি।
পুরসভার অবশ্য দাবি, তাদের তরফে জমা জল সরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পুরপ্রধান প্রবোধ সরকার বলেন, ‘‘কী ভাবে দ্রুত জল সরানো যায় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে পাম্প চালিয়ে জল বের করে দেওয়া হবে।’’ তিনি আরও জানান, বর্ষা শেষ হলেই এলাকায় নিকাশি নালা তৈরির কাজ শুরু করা হবে। সে জন্য টাকাও পাওয়া গিয়েছে। — নিজস্ব চিত্র