এপিডিআর সদস্যদের বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।
জামিনের শর্তপূরণ না হওয়ায় আপাতত বারুইপুর জেলেই রয়েছেন শ্রমিক-কৃষক একতা মঞ্চের তিন কর্মী-সহ চার জন। মঙ্গলবার দুপুরে এঁদের ‘বেআইনি’ ভাবে বকুলতলা থানায় আটকে রাখার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি (এপিডিআর)-এর সদস্যরা। বারুইপুর পুলিশ জেলা সুপারের অফিসের সামনে বিক্ষোভের পর ওই মানবাধিকার সংগঠনের তরফে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়।
২৫ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ড ছাড়াও ধৃত চার জনকে শর্ত দেওয়া হয়েছিল যে বকুলতলা থানা এলাকার নিজস্ব জমির মালিকানা রয়েছে এমন বাসিন্দা তাঁদের চেনেন বলে জানাতে হবে। তবে সেই শর্তপূরণ করতে পারেননি ধৃতেরা। ফলে জামিনের শর্ত না মানায় আপাতত বারুইপুর জেলেই থাকতে হচ্ছে তাঁদের।
এপিডিআর-এর তরফে আলতাফ আহমেদ জানিয়েছেন, রবিবার রাতে জীবন মণ্ডলের হাট থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন পড়ুয়াকে তুলে নিয়ে যায় বকুলতলা থানার পুলিশ। ওই পড়ুয়ারা বাবলু হালদার নামে এলাকার এক বাসিন্দার বাড়িতে উঠেছিলেন। পুলিশ তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। আলতাফের দাবি ছিল, ‘‘ওই তিন জন পড়ুয়া মায়াহাউরি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবা উন্নয়নের জন্য জনমত সংগ্রহ করে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে দিয়েছিলেন। তাঁদের অন্যায় ভাবে থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে এক দিন বসিয়ে রাখা হয়। সোমবার আদালতেও তোলা হয়নি। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার তাঁদের বারুইপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কী কারণে গ্রেফতার করা হল, সে বিষয়ে মুখ খোলেনি পুলিশ।’’ এই ঘটনায় আলতাফের মন্তব্য, ‘‘জনস্বাস্থ্য নিয়ে প্রচার করতে গিয়ে গ্রেফতারির এই ঘটনা গণআন্দোলনের পক্ষে সঙ্কট বয়ে আনবে।’