—প্রতীকী চিত্র
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা নিজেদের প্রাপ্য সাম্মানিক ভাতা থেকে চাঁদা দিয়ে সদ্য অবসর নেওয়া কর্মী, সহায়িকাদের এককালীন টাকার ব্যবস্থা করলেন।
বৃহস্পতিবার ক্যানিং ১ ব্লকের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা একটি অনুষ্ঠান করে ব্লক এলাকার ন’জন সদ্য অবসরপ্রাপ্ত কর্মী, সহায়িকাদের ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য করেন। এর পাশাপাশি তাঁদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেওয়া হয়। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল, প্রকল্প আধিকারিক শ্যামল পাল। তাঁরা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের এই মানবিক কাজের প্রশংসা করেন তাঁরা।
বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, ‘‘আমাদের সরকারের আমলে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের কিছুটা সাম্মানিক ভাতা বেড়েছে। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। কিন্তু অবসরপ্রাপ্ত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের জন্য অবসরকালীন কোনও সুযোগ সুবিধা নেই। ব্লক এলাকার কর্মীরা যে ভাবে নিজেদের উদ্যোগে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পাশে দাঁড়ালেন তার সাধুবাদ জানাই। অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা যাতে সরকারি সুযোগ সুবিধা পান তার জন্য আমি বিভাগীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।’’
এমনিতেই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়। এই সব অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা দিনের পর দিন কচিকাঁচাদের পড়ান। পাশাপাশি তাদের নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো এবং এলাকার গর্ভবতী মায়েদের খোঁজ রাখা, তাঁদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া ছাড়াও সরকারি নানা কাজ তাঁরা করেন। বর্তমান বাজারে তাঁরা মাসিক ৫-৬ হাজার টাকা সাম্মানিক ভাতা পান। যা খুবই কম। এই সব অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের অবসরকালীন সরকারি কোনও সুযোগ সুবিধা নেই। অথচ এই সব কর্মীরাই দীর্ঘ সময় ধরে সরকারি নানা কাজের দায়িত্ব সামলেছেন। তাই সহকর্মী তথা সদ্য অবসরপ্রাপ্ত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের পাশে থাকতে এবং এককালীন কিছু অর্থ সাহায্য করতে নিজেদের প্রাপ্য বেতন থেকে চাঁদা তুলে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্যানিং ১ ব্লকের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা।
এ দিন এককালীন টাকা পেয়ে খুশি বীণাপানি সর্দার, জয়শ্রী নস্কর। তাঁরা বলেন, ‘‘ভাবেনি আমাদের অবসরের সময় এ ভাবে আমাদের সহকর্মীরা পাশে দাঁড়াবেন। তাঁরা আজ যে ভাবে আমাদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তা কোনওদিনও ভুলব না। সরকার যদি আমাদের মতো অবসরপ্রাপ্ত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের কথা ভেবে এককালীন টাকা সাহায্যের ব্যবস্থা করে, তা হলে গরিব অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা উপকৃত হবেন।’’