Kamduni Case

কামদুনিতে প্রশ্নে পুলিশি ভূমিকা, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিতে উদ্যোগ

গণস্বাক্ষর সংগ্রহ রবিবার থেকে শুরু হয়েছে। ওই সংগঠনের সদস্যদের বক্তব্য, আগামী কয়েক দিন দুর্গা, কালী, জগদ্ধাত্রী পুজোর মাধ্যমে নারীশক্তির আরাধনা চলবে।

Advertisement

প্রকাশ পাল

চন্দননগর শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:০২
Share:

—প্রতীকী ছবি।

এক দশক আগে কামদুনিতে এক কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে নৃশংস ভাবে খুনের ঘটনায় শিউরে উঠেছিল পশ্চিমবঙ্গ। এই ঘটনা আরও এক বার নাড়া দিয়েছে রাজ্যবাসীকে। এ বার বিচলিত হওয়ার কারণ নিম্ন আদালতে দোষীদের সাজা কলকাতা হাই কোর্টে কমে যাওয়ায়। হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ নির্যাতিতার পরিবার। এর মধ্যে ঘটনার তদন্তে পুলিশ বিভাগের ভূমিকা আতস কাচের তলায় আনার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গণস্বাক্ষর করা চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চন্দননগরের ‘আইন সহায়তা কেন্দ্র’।

Advertisement

গণস্বাক্ষর সংগ্রহ রবিবার থেকে শুরু হয়েছে। ওই সংগঠনের সদস্যদের বক্তব্য, আগামী কয়েক দিন দুর্গা, কালী, জগদ্ধাত্রী পুজোর মাধ্যমে নারীশক্তির আরাধনা চলবে। পড়াশোনা করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখা ওই তরুণীর উপরে শুধু যৌন অত্যাচারই নয়, তাঁকে বাঁচতে পর্যন্ত দেয়নি ধর্ষক-খুনিরা। নির্যাতিতার প্রতি সুবিচারের দাবিতে নাগরিক সমাজকে সামিল হওয়ার ডাক দেওয়া হয়েছে এই সংগঠনের তরফে। পুজোর সময়েও সই সংগ্রহ চলবে। তারপরে ওই চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো হবে।

হাই কোর্টের রায় বিশ্লেষণ করে আইন সহায়তা কেন্দ্র মনে করছে, তদন্তে পুলিশের খামতি ছিল। সংস্থার সম্পাদক, আইনজীবী বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সিআইডি-র আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল। সাজা কমানোর রায়ে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, পুলিশি তদন্ত সঠিক না হওয়ার জন্যই আদালত আসামিদের চরম সাজা দিতে
পারছে না।’’

Advertisement

রাজ্যের তৎকালীন ডিজি কেন এই ঘটনার তদন্ত নিয়ে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করেননি, এই প্রশ্ন তুলে সংস্থার সদস্যেরা মনে করেন, এই ধরনের ঘটনায় দোষীরা লঘু সাজা পেলে প্রশাসন সম্পর্কে সমাজে বিরূপ বার্তা যাবে।

কামদুনি মামলায় ২০১৬ সালে নিম্ন আদালত তিন জনকে ফাঁসি এবং তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দিয়েছিল। রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে যায় সাজাপ্রাপ্তেরা। সম্প্রতি হাই কোর্ট ফাঁসির আসামিদের মধ্যে এক জনকে বেকসুর খালাস করে। নিম্ন আদালতে আমৃত্যু কারাদণ্ড হওয়া তিন জনের সাজার মেয়াদ কমিয়ে ৭ বছর করে হাই কোর্ট। ইতিমধ্যে ১০ বছর জেল খেটে ফেলায় তারা মুক্তি পেয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে জনমানসে চর্চা শুরু হতেই সিআইডি রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায়। তবে, নির্যাতিতার বাড়ির লোকজন, বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়া নির্যাতিতার বন্ধু টুম্পা কয়াল, মৌসুমি কয়ালরা জানিয়ে দেন, সিআইডি তথা রাজ্য পুলিশের উপরে তাঁদের ভরসা নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement