লন্ডভন্ড আলমারি। নিজস্ব চিত্র।
বাড়িতে ঢুকে শিশুদের গলায় আগ্নেয়াস্ত্র এবং দা ঠেকিয়ে নগদ টাকা, সোনার গয়না লুঠ করে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়া থানার নতুনহাট রাঘবপুর এলাকায়। রাতেই জেলা পুলিশের কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাঘবপুর গ্রামের বাসিন্দা দীপঙ্কর সিকদার পেশায় স্কুল শিক্ষক। তিনি বাঁকুড়ার একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ ৩টি বাইকে করে ৬ জন দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়। পাঁচজন বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে। বাকি একজন রাস্তায় পাহারায় ছিল। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীদের হাতে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো দা। দুষ্কৃতীদের মুখ ঢাকা ছিল। হাতে ছিল গ্লাভস। সন্ধ্যায় দীপঙ্কের স্ত্রী সুপ্রিয়া রান্না ঘর থেকে অন্য একটি ঘরে যাচ্ছিলেন। ওই সময় দুষ্কৃতীরা তাঁর মুখ চেপে ধরে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকায়।। অন্য ঘরে দীপঙ্করের সঙ্গে ছিলেন তাঁর বোন এবং বাবা। ওই ঘরেই ছিল দীপঙ্করের চার বছরের ছেলে দীপায়ন, এবং ছয় বছরের ভাগ্নে তৃষাণ। সকলকে দুষ্কৃতীরা একটি ঘরে নিয়ে আসে। দীপায়ন এবং তৃষাণের গলায় দা ও আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকায় দুষ্কৃতীরা। সুপ্রিয়া বলেন, ‘‘প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে ওরা অপারেশন চালিয়েছে।’’ দীপঙ্করের বাড়ির আশপাশে বাড়িঘর আছে। কাছেই বাজার। তাঁরা চিৎকার করলেন না কেন? দীপঙ্কর বলেন, ‘‘শিশুদের গলায় দা ধরে রেখেছিল ওরা। চিৎকার করলে খুনের হুমকি দিয়েছিল। ভয়ে সাড়াশব্দ করতে পারিনি।’’ দীপঙ্কর জানিয়েছেন, ফিরে যাওয়ার সময় বাইরে জানলার পাশে বোমা হাতে এক দুষ্কৃতী দাড়িয়ে ছিল।