—প্রতীকী ছবি।
নাবালিকাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ প্রতিবেশী দাদুর বিরুদ্ধে। ভয়ে প্রথমে কিছু জানায়নি কিশোরী। অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, সে সন্তানসম্ভবা। ঘটনা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে। পলাতক অভিযুক্ত।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নির্যাতিতা দিন কয়েক ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিল। বেশ কয়েক জন চিকিৎসককে দেখিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। শেষে এক চিকিৎসকের পরামর্শে পরীক্ষা করে জানা যায়, ওই নাবালিকা সন্তানসম্ভবা। তার পরই কিশোরী অভিযোগ করে, প্রতিবেশী এক বৃদ্ধ নাবালিকাকে একাধিক বার ধর্ষণ করেছেন।
নির্যাতিতার জেঠুর কথায়, ‘‘আমাদের মেয়ে দু’-তিন মাস ধরে অসুস্থ। তাকে বিভিন্ন ডাক্তার দেখাই, কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। শেষে জামতলা এলাকায় এক ডাক্তার পরীক্ষা করে জানান মেয়ে সন্তানসম্ভবা। ভাইঝিকে জিজ্ঞেস করতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে। তার পরই পুরো ঘটনা জানায়। দোষীর শাস্তি চাই।’’ আগেও অভিযুক্ত এমন কাজ করেছেন বলে অভিযোগ তাঁর। নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, মুখ খুললে মেয়েকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ভয়ে তাই বাড়িতে কিছু বলেনি সে।
কুলতলি থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত। তাঁর সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন বারুইপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অতীশ বিশ্বাস।