প্রতারণার নালিশ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুনসেফপাড়ায় সঞ্জয়ের একটি সোনার দোকান আছে। চড়া সুদ কিংবা অল্প সময়ে টাকা দ্বিগুণ করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা সে হাতিয়েছিল বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

বসিরহাট শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:৩৩
Share:

বেপাত্তা: সঞ্জয় বিশ্বাস

পাঁচ কোটির বেশি টাকা হাতিয়ে বসিরহাটের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী উধাও হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। বসিরহাটের নৈহাটির পূর্বপাড়ার বাসিন্দা ওই ব্যবসায়ীর নাম সঞ্জয় বিশ্বাস। প্রতারণার অভিযোগে এর আগে একবার সঞ্জয়কে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। সম্প্রতি জামিনে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরে একই কায়দায় মানুষকে প্রতারণা শুরু করেছিল বলে অভিযোগ। শুক্রবার বাড়ি বিক্রি করে দোকানে তালা ঝুলিয়ে পরিবারের সকলকে নিয়ে এলাকা ছেড়ে পালায়। বুধবার ফের অভিযোগ পেয়ে সঞ্জয়ের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুনসেফপাড়ায় সঞ্জয়ের একটি সোনার দোকান আছে। চড়া সুদ কিংবা অল্প সময়ে টাকা দ্বিগুণ করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা সে হাতিয়েছিল বলে অভিযোগ। প্রথম প্রথম কিছু টাকা দিলেও পরবর্তি সময়ে টাকা দেওয়া বন্ধ হওয়ায় টনক নড়ে জনতার। পুলিশ জানায়, অভিযোগ পেয়ে অগস্ট মাসে সঞ্জয়কে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জামিনে ছাড়া পেয়ে কম দামে বাড়ি বিক্রি করে দোকানে তালা লাগিয়ে পরিবারের সকলকে নিয়ে সে পালায়। এ দিন বসিরহাট থানা চত্বরে দাঁড়িয়ে প্রাক্তন সেনাকর্মী সাগরদীপ সরকার বলেন, ‘‘দোকান চালাতে গিয়ে ধার হয়ে গিয়েছে বলে আমাকে ভুল বুঝিয়ে সঞ্জয় ২২ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিল। একটা টাকাও ফেরত দেয়নি।’’ সমীর পাত্রের দাবি, তার কাছ থেকে ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা নিয়েছিল সঞ্জয়। বিশ্বজিৎ সরকারের দাবি, তিনি ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। অনন্যা সরকার বলেন, ‘‘সঞ্জয়ের কথায় বিশ্বাস করে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। সব টাকা নিয়ে পালাল।’’ এ দিন পুলিশের কাছে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়। পুলিশ জানায়, প্রায় ৪০-৪৫ জনকে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে। তার খোঁজ চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement