টোটো থেকে উদ্ধার হওয়া বোমা। —নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের ঠিক আগে ড্রাম ড্রাম বোমা মিলল দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘিতে। মঙ্গলবার গভীর রাতে বোমা পাচারের সময় গ্রামবাসীরাই হাতেনাতে পাকড়াও করেন দুষ্কৃতীদের। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে রায়দিঘি বিধানসভার ঢোলা থানা এলাকার আবাদ ভগবানপুরে। পরে পুলিশ এসে বিস্ফোরকগুলি উদ্ধার করেছে। গ্রেফতার হয়েছেন এক জন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, টোটো করে ওই বোমাগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের সময় অশান্তি করতেই এই ‘আয়োজন’ বলে দাবি করেছেন তাঁরা। পুলিশ সূত্রে খবর, মোট চারটি ড্রাম থেকে প্রায় ৭০টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার গভীর রাতে ভগবানপুর গ্রামের রাস্তা দিয়ে একটি টোটো যাচ্ছিল। এত রাতে টোটো চলায় সন্দেহ হয়। কয়েক জন এগিয়ে গিয়ে খোঁজখবর করতেই দেখেন বোমা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে হইচই বেঁধে যায় গ্রামে। গ্রামবাসীরা মিলে ওই টোটোটিকে আটকান। ঘিরে ধরা টোটোচালককে। খবর পেয়ে ঢোলা থানার পুলিশ চলে আসে ঘটনাস্থলে। পুলিশ সূত্রে খবর, যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর নাম কামারুজ্জামান মোল্লা। কার নির্দেশে এই কাজ করছিলেন তিনি, তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে কোনও রাজনৈতিক দলই এই বোমা উদ্ধারের ‘দায়’ নেয়নি। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করছে।
বস্তুত, বুধবারই স্থানীয় শঙ্করপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন রয়েছে। তার আগে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। সতর্ক রয়েছে প্রশাসন।