Fisherman

মাছ ধরতে গিয়ে ও পারে চলে গিয়েছিলেন, তিন মাস পর বাংলাদেশ থেকে ঘরে ফিরলেন ১৩৫ মৎস্যজীবী

মৎস্যজীবীদের সংগঠন সূত্রে খবর, জুন মাসে ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার একদল মৎস্যজীবী। সেই যাত্রায় ৮টি ট্রলার সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২২ ২০:২৪
Share:

নিজস্ব চিত্র

জল সীমানা লঙ্ঘন করে ও পারে চলে গিয়েছিলেন তাঁরা। তিন মাস পর বাংলাদেশ থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরলেন রাজ্যের ১৩৫ জন মৎস্যজীবী। শুক্রবার রাতে তাঁরা কাকদ্বীপে এসেছেন। জল সীমানা লঙ্ঘন করতে দেখেই বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী ওই মৎস্যজীবীদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। অভিযোগ, সেখানে তাঁদের মারধর করা হয়। গত তিন মাস ধরে দু’দেশের যৌথ উদ্যোগে অবশেষে তাঁরা ছাড়া পান।

Advertisement

মৎস্যজীবীদের সংগঠন সূত্রে খবর, জুন মাসে মাছ ধরার মরসুম শুরু হতেই ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার একদল মৎস্যজীবী। সেই যাত্রায় ৮টি ট্রলার সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। এই খবর পাওয়ামাত্রই ওই ৮টি ট্রলার মিলিয়ে মোট ১৩৫ জন মৎস্যজীবীকে ফিরিয়ে আনার আবেদন জানিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হয় সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়ন। এর পরেই দু’দেশের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। বাংলাদেশে আটকে পড়া মৎস্যজীবীরা দেশে ফিরে আসার পর জানান, তাঁদের ও পারের জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। সেখানে নানা ভাবে অত্যাচারও চলেছে তাঁদের উপর। বুধবার সেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েই বাড়ি ফিরে এসেছেন তাঁরা।

সদ্য ঘরে ফেরা এক মৎস্যজীবীর কথায়, ‘‘উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার পর আমাদের মোংলা আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ভীষণ মারধর করা হয় আমাদের। পরে আমাদেরকে বাগেরহাট আদালতে হাজির করানো হয়। জেলেও নানা ভাবে অত্যাচার করা হয়েছে।’’

Advertisement

সংগঠনের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, ‘‘মৎস্যজীবীরা আটক হওয়ার পরেই ওঁদের ফিরিয়ে আনার জন্য সংগঠনের তরফে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে আবেদন করা হয়। ওঁরা ছাড়া পেয়েছেন, এটা খুব ভাল খবর। তবে দুর্গাপুজোর সময় বাড়ি ফিরতে পারলে ওঁদের পরিবার আরও খুশিতে কাটাতে পারত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement