সুন্দরবনের কুমির। —ফাইল চিত্র।
বাঘের পর এ বার কুমির গণনা হবে ভারতের দিকের সুন্দরবনে। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প সূত্রের খবর, ২০১২ সালের পরে ফের এই কর্মসূচি। গত এক বছরে বাঘ, বনবিড়াল, মেছো বিড়ালের সংখ্যা নির্ধারণ করেছে বন দফতর। সেই রিপোর্টও জমা পড়েছে। এ বার সুন্দরবনের নোনাজলে কুমিরের সংখ্যা জানার চেষ্টা চলছে। সব ঠিক থাকলে আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে কাজ শুরু হবে। তিন দিন ধরে সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বনকর্মী ও কুমির বিশেষজ্ঞেরা কাজ করবেন।
২০১২ সালে সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তে ৩১টি দল তিন দিন ঘুরে কুমির গণনা করেছিল। ২১টি দল সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় ও ১০টি দল দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগ এলাকায় সন্ধান চালায়। বন দফতরের কথা অনুযায়ী, সে বছর ১৪১টি কুমিরের খোঁজ মিলেছিল সুন্দরবনে। তবে একেবারে ছোট কুমিরদের গণনা থেকে বাদ রাখা হয়েছিল। গত কয়েক বছরে ভগবতপুর কুমির প্রকল্প থেকে অনেক কুমির সুন্দরবনের নদী-খাঁড়িতে ছাড়া হয়েছে। এ বার কুমিরের সংখ্যা বাড়তে চলেছে অনুমান করছেন বনকর্তারা। যে ভাবে গত কয়েক মাসে একাধিক বার নদী থেকে কুমির লোকালয়ে চলে এসেছে, তাতে সুন্দরবনে কুমিরের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। মূলত খালি চোখে দেখেই কুমিরের গণনা করা হবে। এ ছাড়াও যে এলাকায় কুমিরের দেখা মিলছে, সেই এলাকার অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ ও জলের তাপমাত্রা, লবণতার পরিমাণ রেকর্ড করা হবে। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর জোন্স জাস্টিন বলেন, “অনেক বছর বাদে এ বার আবার কুমির গণনা হতে চলেছে। দ্রুত বনকর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।”