হাতে কুড়ুল আর মুখে ‘মেরে ফেলব’ কেটে ফেলব গোছের হুঙ্কার শুনে গাঁয়ের লোকও ধারেকাছে ঘেঁষতে পারছিলেন না। যাঁকে উদ্দেশ্য করে এমন হুমকি, সেই মহিলা পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেছিলেন। ঝাঁপ দিয়েছিলেন পুকুরে। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। কুড়ুল হাতে জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে বৌদির উপরে চড়াও হয় দেওর। এলোপাথাড়ি কোপে রক্তে লাল পুকুরের ঘোলা জলও।
এত সবের পরেও অবশ্য জনতা ধারেকাছে ঘেঁষতে পারেনি অভিযুক্ত রুহুল আমিনের। জল থেকে উঠে কুড়ুল ঘোরাতে ঘোরাতে পালায় সে।
মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বাদুড়িয়ার রাজবেড়িয়া গ্রামে। উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় রুহুলের বাড়িতে। রুহুলের বৌদি, জখম জাহানারা বিবিকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জাহানারার স্বামী আব্দুলহাই মণ্ডল ভাইয়ের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। রুহুলের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। উত্তেজনা থাকায় এলাকায় পুলিশ পিকেট বসেছে। প্রাথমিক তদন্তে তাদের অনুমান, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে রুহুল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সম্পত্তি নিয়ে রুহুল সঙ্গে অশান্তি ছিল আত্মীয়-পরিজনদের। মাথা গরম রুহুল মাঝে মধ্যেই একে তাকে মারধর করত। মাসখানেক আগে এক ভাইঝিকে মেরে হাত ভেঙে দেয় বলেও অভিযোগ।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির চৌবাচ্চার কাছে বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে বৌদি-দেওরের বচসা বাধে।