—প্রতীকী চিত্র।
চার নিখোঁজ স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারের পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এক কিশোরকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার বিশেষ আদালতের নির্দেশে তাকে হোমে পাঠানো হয়েছে। হোমে পাঠানো হয়েছে ওই ছাত্রীদেরও। সূত্রের খবর, ওই ছাত্রীরা জানিয়েছে, ‘বন্ধুত্বের’ হাতছানিতেই তারা ঘর ছেড়েছিল। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ধৃতের সঙ্গে ওই চার জনের মধ্যে দু’জনের সম্পর্ক ছিল। বাকিদেরও বিশেষ বন্ধু জুটিয়ে দেবে, এই আশ্বাসে তাদের চুঁচুড়ায় নিয়ে গিয়েছিল সে।’’
শুক্রবার ইছাপুর আনন্দমঠ বালিকা বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণির মোট চার পড়ুয়া স্কুলে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় বলে অভিযোগ। শনিবার তাদের খোঁজ মেলে চুঁচুড়ায় মহরমের মেলায়। পুলিশ জানতে পারে, শুক্রবার বাইরে থাকবে, সেই পরিকল্পনা আগেই করেছিল চার জন। ধৃত কিশোর তাদের থাকার ব্যবস্থা করে। শনিবার গঙ্গার ঘাট, ইমামবাড়া ঘুরে মেলায় ঢোকে চার ছাত্রী। পুলিশ সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের বাসুদেবপুর থানায় জিজ্ঞাসাবাদে ওই ছাত্রীরা জানিয়েছে, বিশেষ বন্ধু না থাকলে ‘স্টেটাস’ থাকে না। তাই তারা পালিয়েছিল। এই তত্ত্বে অবাক হলেও তদন্তকারীরা অবশ্য বন্ধু পাতানোর নামে পাচার করার দিক রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন। ওই পড়ুয়াদের অভিভাবকদের পাশাপাশি, ধৃতের অভিভাবকের সঙ্গেও পুলিশ কথা বলছে।
কমিশনারেটের উইমেন্স গ্রিভান্স সেলের আধিকারিকেরা জানান, পড়ার নামে বেরিয়ে বিভিন্ন পানশালায় যাওয়া কিশোরীদের কখনও সিনেমা, কখনও মডেলিং-এর লোভ দেখিয়ে পাচারের একটি চক্রকে আগে ধরা হয়েছিল। একটি পানশালা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল কয়েক জন কিশোরীকে। ফের কোনও চক্র সক্রিয় হচ্ছে কি না, তা দেখা হবে।