— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বিগত বছরগুলিতে সন্দেশখালি থানার সুখদুয়ানি রিফিউজি হাই স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্র পড়ত রামপুর হাই স্কুল অথবা আতাপুর কেনারাম হাই স্কুলে। কাছাকাছি এলাকা হওয়ায় পৌঁছতে সমস্যা হত না পড়ুয়াদের। এ বার এই স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র পড়েছে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে, ঢেকনামারি দামোদর আদিবাসী হাই স্কুলে। হাতে প্রায় তিন-চার ঘণ্টা সময় নিয়ে বেরোতে হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের। পরীক্ষার প্রথম দিন পৌঁছতেও বেগ পেতে হয়েছে বেশ কিছু ছেলেমেয়েকে। শনিবার আনন্দবাজার পত্রিকায় এই সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন।
শনিবার সকাল থেকে জেলা ও রাজ্যের শীর্ষ কর্তারা ব্লক স্তরের আধিকারিকদের থেকে এ বিষয়ে বিশদে খোঁজ নেন। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক সন্দেশখালি ১ ও ২ ব্লকের বিডিওদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। পরীক্ষাকেন্দ্রের কাছাকাছি যাতে পড়ুয়াদের থাকার ব্যবস্থা করা যায়, তা দেখতে বলেন। বিডিও সন্দেশখালি ২ অনন্তকুমার সামন্ত পরিদর্শনে যান ঢেকনামারি দামোদর আদিবাসী বিদ্যালয়ের পরীক্ষাকেন্দ্রে। উত্তর ২৪ পরগনার ডিআই কৌশিক রায় সুখদুয়ানি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অভিষেক দাসের সঙ্গে কথা বলেন। স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, খোঁজখবর নেন।
সন্দেশখালি ২ ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, সুখদুয়ানি স্কুলের ৮৬ জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮৫ জন অ্যাডমিড কার্ড তুলেছে। তারা প্রত্যেকেই পরীক্ষা দিচ্ছে। কয়েক জন ঘর ভাড়া নিয়ে আছে পরীক্ষাকেন্দ্রের পাশে। তিন-চার জন আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে পরীক্ষা দিচ্ছে। পাশাপাশি, ব্লক প্রশাসনের তরফে প্রায় ৬০ জন পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষাকেন্দ্রের পাশে একটি বহুমুখি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বারো জন পরীক্ষার্থী একটি গাড়ি ভাড়া করে যাতায়াত করছে।