ডুবুরি খুঁজতে ঝাঁপ প্রশাসনের

গঙ্গার ঘাটগুলির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে ব্যারাকপুর, হাওড়া ও হুগলি শিল্পাঞ্চলে গঙ্গার ৩৬৭টি ঘাটে নজরদারি বাড়ানোর বিষয়ে তৎপরতা বাড়ছে।

Advertisement

বিতান ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৫৩
Share:

গঙ্গার ঘাটগুলির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে ব্যারাকপুর, হাওড়া ও হুগলি শিল্পাঞ্চলে গঙ্গার ৩৬৭টি ঘাটে নজরদারি বাড়ানোর বিষয়ে তৎপরতা বাড়ছে। ফেরি ঘাটগুলিতে সিসি ক্যামেরা লাগানোর পাশাপাশি স্নানের ঘাটগুলির সংস্কার হবে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু একটি সমস্যা মেটানোর কোনও আশু সমাধান সূত্র খুঁজে পাচ্ছেন না প্রশাসনের কর্তারা। প্রশিক্ষিত ডুবুরির খোঁজে তাঁদের কালঘাম ছুটছে।

Advertisement

ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা আকছার ঘটে। কিন্তু উদ্ধারের কাজে ভরসা সেই মৎস্যজীবী বা ঘাটের আশপাশের স্থানীয় লোকজন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেহ উদ্ধার হয় মারা যাওয়ার পর কোনও না কোনও ঘাটের কাছে বা জেটির পাশে ভেসে উঠলে তবেই।

সাধারণত শিল্পাঞ্চলে জলে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটলে পুলিশ-প্রশাসনের তরফে খবর দেওয়া হয় লালবাজারে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। সেখান থেকে ডুবুরি এসে কাজ শুরু করতে করতেই কেটে যায় অনেকটা সময়। বেলা গড়িয়ে যাওয়ার পরে কোনও ঘটনা ঘটলে পর দিন সকাল না হওয়া পর্যন্ত তল্লাশি শুরুই হয় না।

Advertisement

গঙ্গার ধার বরাবর ব্যারাকপুর মহকুমায় জলে ডুবে মৃত্যু এড়াতে বছর পনেরো আগে মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগেই সিভিল ডিফেন্স-এর কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবককে নিয়ে ডুবন্ত মানুষকে উদ্ধার করতে একটি ‘স্কেলিটন টিম’ তৈরি হয়েছিল। তাঁদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও ছিল। লাইফ জ্যাকেট, রবারের নৌকো, জাল, টর্চ ইত্যাদি সরঞ্জাম কেনা হয়েছিল। প্রদীপ মুখোপাধ্যায় নামে ব্যারাকপুর মণিরামপুরের বাসিন্দা এক দমকলকর্মী ছিলেন এই বাহিনীর প্রশিক্ষক। প্রদীপবাবু নিজে গঙ্গা ও পুকুর থেকে তিরিশজনেরও বেশি মানুষকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন। পরিসংখ্যান বলে, ২০০৭ সাল পর্যন্ত জলে ডোবার সংখ্যা না কমলেও উদ্ধারের সংখ্যা বেড়েছিল তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে। এ বারও তাই জলে ডোবা মানুষজনকে বাঁচাতে প্রদীপবাবুরই ডাক পড়েছে প্রথমে। ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক পীযূষ গোস্বামী বলেন, ‘‘ওঁকে দিয়েই ফের স্কেলিটন টিম তৈরি করার কথা ভাবা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এটি তৈরি করা হবে।’’ বয়স হলেও এই কাজে উৎসাহী প্রদীপবাবু। বললেন, ‘‘মানুষের স্বার্থেই আবার জলে ঝাঁপাতে প্রস্তুত। নতুন ছেলেমেয়েদের নিয়ে ডুবন্ত মানুষকে উদ্ধারের প্রশিক্ষণ দেবো। তবে প্রশাসনিক পরিকাঠামো যদি আমাদের সব সময়ে সাহায্য করে, তবেই এটা সম্ভব।’’

শিশুর মৃত্যু। গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে এক দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বৃস্পতিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কুলতলির জয়নগর- জামতলা রোডে খোলাখালি মোড়ের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম গৌরহরি হালদার (৮)। বাড়ি ওই এলাকায়। এই ঘটনার পর রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় জনতা। প্রায় তিন ঘণ্টা পর পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। রাস্তার পাশে ইমারতি দ্রব্যের জন্য ঘটছে দুর্ঘটনা বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement