ছাত্রীর গায়ে অ্যাসিড ছোড়ার অভিযোগে ধৃত

কলেজে ভর্তি হওয়ার পরে আলাপ দু’জনের। কিন্তু সহপাঠীর প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তরুণী। অভিযোগ, সেই রাগে মেয়েটির গায়ে অ্যাসিড ছোড়ে ওই যুবক। গ্রেফতারও করা হয়েছে তাঁকে। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে ক্যানিংয়ের দাঁড়িয়াতে। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে অ্যাসিড-আক্রমণ ইদানীং আকছার ঘটছে। মহিলারাই আক্রমণের শিকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৫ ০১:০০
Share:

কলেজে ভর্তি হওয়ার পরে আলাপ দু’জনের। কিন্তু সহপাঠীর প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তরুণী। অভিযোগ, সেই রাগে মেয়েটির গায়ে অ্যাসিড ছোড়ে ওই যুবক। গ্রেফতারও করা হয়েছে তাঁকে।

Advertisement

রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে ক্যানিংয়ের দাঁড়িয়াতে। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে অ্যাসিড-আক্রমণ ইদানীং আকছার ঘটছে। মহিলারাই আক্রমণের শিকার। দেশের সর্বোচ্চ আদালতও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। যত্রতত্র অ্যাসিড বিক্রির উপরে ইতিমধ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তারপরেও ঘটনা বন্ধ হওয়ার লক্ষণ নেই। ক্যানিংয়ের ঘটনায় পুলিশের দাবি, বাথরুম পরিষ্কার করার অ্যাসিডই ব্যবহার করা হয়েছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারুইপুরের বেলেগাছির হরিমূল গ্রামের বাসিন্দা ওই ছাত্রী বারুইপুরেরই সুশীল কর কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী। ওই কলেজেরই প্রথম বর্ষের ছাত্র দাঁড়িয়ার বাসিন্দা এনামুল সরকার। এক সঙ্গে পড়াশোনার সূত্রেই দু’জনের আলাপ-পরিচয়। অভিযোগ, এনামুল তার সহপাঠিনীকে বার কয়েক প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু তাতে রাজি ছিলেন না ওই তরুণী।

Advertisement

রবিবার সকালে দাঁড়িয়ায় টিউশন পড়তে গিয়েছিলেন তিনি। এনামুলও পড়ে সেখানে। তবে এ দিন পডড়তে যাননি তিনি। অভিযোগ, মেয়েটি গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে পড়ে বাড়ি ফেরার পথে তাঁর গায়ে অ্যাসিড ছোড়েন ওই যুবক। অ্যাসিড লাগে মেয়েটির পিঠে। সে সময়ে আশপাশের লোকজন ধরে ফেলেন এনামুলকে। তাঁরাই ওই যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ দিকে ওই অবস্থাতেই বাড়ি ফেরেন ছাত্রী। পরিবারের লোকজন তাঁকে নিয়ে যান ক্যানিং হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয় মেয়েটিকে। পরে তিনি থানায় গিয়ে এনামুলের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই যুবককে।

পুলিশের দাবি, সহপাঠিনীকে তিনি ভালবাসেন বলে স্বীকার করেছেন যুবক। কিন্তু অ্যাসিড-আক্রমণ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ইচ্ছে করে এমনটা তিনি ঘটাননি। শিশিতে আতর আছে মনে করে মেয়েটির গায়ে ছিটিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ওই শিশিতে আতরের বদলে যে অ্যাসিড ভরা হয়েছে, তা তিনি জানতেন না। এই দাবির সত্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement