— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
দিল্লির একটি সরকারি হাসপাতালের শৌচাগারে ক্যামেরা রেখে গোপনে চলছিল মহিলাদের ভিডিয়ো রেকর্ডিং! এ বার সেই ঘটনাতেই এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবারই ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর পশ্চিম দিল্লির একটি সরকারি হাসপাতালে। শনিবার সকালে হঠাৎ জানা যায়, হাসপাতালের বহির্বিভাগে মহিলাদের শৌচাগারে একটি মোবাইল ফোন লুকোনো রয়েছে। ফোনের ক্যামেরাটিও চালু রয়েছে। শৌচাগারের ভিতর গোপনে মহিলাদের ভিডিয়ো রেকর্ড করা হচ্ছে সেই মোবাইলে। এর পরেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয় পুলিশেও খবর দেওয়া হয়। তদন্তে নেমে শনিবারই এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক উত্তর পূর্ব দিল্লির বাসিন্দা। ধরা পড়ার পরে অবশ্য অভিযুক্ত দাবি করেছেন, তিনি নাবালক। এর পরেই ধৃতের প্রকৃত বয়স নির্ধারণের জন্য রেকর্ড ঘেঁটে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের (উত্তর পশ্চিম) ডিসিপি অভিষেক ধনিয়া বলেছেন, ‘‘হাসপাতাল থেকে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শনিবার এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত উত্তর পূর্ব দিল্লির বাসিন্দা। অভিযোগ, রোজ সকালে হাসপাতালে এসে প্রথমেই মহিলাদের শৌচাগারে ঢুকে নিজের ফোনটি সেখানে লুকিয়ে রাখতেন যুবক।’’
ধৃতের ফোন থেকে অন্তত ১০টি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ভিডিয়ো উদ্ধার হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাঁর ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওয়াই-ফাই এবং কেবল নেটওয়ার্কের সাহায্যে ভিডিয়োগুলি আদানপ্রদান করতেন অভিযুক্ত। তবে কেন তিনি রোজ ভিডিয়ো রেকর্ড করতে বাড়ি থেকে এত দূরের হাসপাতালে আসতেন, তা এখনও জানা যায়নি। এই কাজের নেপথ্যে অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল কি না, তা-ও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।