খুনের ঘটনার ২৪ বছর পরে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল দোষীর।
বৃহস্পতিবার বারাসত জেলা আদালতের সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক দমনপ্রসাদ বিশ্বাস এই রায় শোনান। পুলিশ জানিয়েছে, সাজাপ্রাপ্তের নাম হরিপদ বিশ্বাস। মামলার সরকারি আইনজীবী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘হরিপদের বিরুদ্ধে ৩০২ এবং ২০১ ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল। এ দিন বিচারক খুনের মামলায় তাকে যাবজ্জীবন এবং তথ্য-প্রমাণ লোপাটের মামলায় আরও দু’বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।’’
মামলাটি বেশ পুরনো। পুলিশ জানায়, খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৯২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর। বনগাঁর উনাই গ্রামের বাসিন্দা সবিতা বিশ্বাসের সঙ্গে ওই এলাকার বাসিন্দা হরিপদের বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক ছিল। খুনের ঘটনার চার বছর আগে সবিতাদেবীর স্বামী সত্যপদবাবুর মৃত্যু হয়। সবিতাদেবীর আট বছরের ছেলে ছিল। পরবর্তী সময়ে ওই মহিলা আর হরিপদর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাননি।
ঘটনার দিন সন্ধ্যাবেলা সবিতাদেবী ওষুধ কিনতে বাজারে বেরিয়েছিলেন। রাস্তায় তাঁকে ধরে গলায় কাপড় জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে জঙ্গলে ফেলে দিয়ে চলে যায় হরিপদ। পরে ট্রেনের তলায় আত্মহত্যাও করতে গিয়েছিল। কিন্তু কোনও কারণে পারেনি। তবে জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। জামিনে মুক্তি পেয়েছিল সে। কেন রায় ঘোষণা করতে এত সময় লাগল? রফিকুল বলেন, ‘‘মাঝখানে মামলাটি কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ২০১১ সালের পরে ফের সাক্ষ্যগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মামলায় মোট সাক্ষী ছিলেন ২২ জন। সাক্ষ্য দেন ১৮ জন। এ দিন অবশ্য সবিতাদেবীর পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ আদালতে হাজির ছিলেন না।