পরিদর্শন: এলেন অভিষেক—ছবি: দিলীপ নস্কর
ডায়মন্ড হারবারের হুগলি নদী বাঁধের পাশে পর্যটকদের জন্য সৌর্ন্দযায়ন করতে গিয়ে প্রায় ৫০ মিটার ধস নেমেছিল। জেটিঘাটের পাশে নদীর বাঁধে ধস নামার পরে তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়। প্রায় ছ’মাস পরে শনিবার বিকেলে কাজ কতটা এগিয়েছে তা পরিদর্শনে এলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাংসদ তহবিলের প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে হুগলি নদীর বাঁধ লাগোয়া একটি ঝুলন্ত পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ করা হয়। সেই মতো ২০১৯ সালের প্রথম দিকে কাজ শুরু হয়। কয়েক মাস পরেই, অগস্ট মাসের প্রথম দিকে হঠাৎ ওই জায়গায় ধস নামে। তড়িঘড়ি সেচ দফতর এবং পূর্ত দফতর থেকে ধস মেরামতি শুরু হয়। পাশাপাশি নদী বাঁধের উল্টো দিকে খালের একাংশ ভরাট করে পুজোর আগেই রাস্তা তৈরি করে গাড়ি চলাচল শুরু করে দেয়। তারপর থেকে ওই নদী বাধের ধসের অংশ সংস্কারের কাজ চলছে। বর্তমানে কাজের গতিপ্রকৃতি এবং নতুন করে কিছু করা যায় কিনা, সে বিষয়ে সরেজমিনে আসেন সাংসদ। সঙ্গে হাজির ছিলেন পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, জেলাশাসক পি উলাগানাথন, ডায়মন্ড হারবারের মহকুমাশাসক সুকান্ত সাহা।
বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ প্রথমে সেচ দফতর এবং পূর্ত দফতর সহ অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক করেন অভিষেক। প্রায় আধ ঘন্টা ধরে বৈঠক চলার পরে তিনি চলে আসেন নদী বাঁধের কাছে। সেখান থেকে ডায়মন্ড হারবার জেটিঘাটের কাছে যান। পরে ফিরে এসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমরা কাজ শুরু করেছিলাম কিন্তু অগস্ট মাসে হঠাৎ দুর্ঘটনা ঘটে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাস্তা তৈরি করে দিয়েছি। ওই নদী বাঁধ এবং উল্টো দিকে খালপাড়ে সিট পাইলিংয়ের কাজ করবে সেচ এবং পূর্ত দফতর।’’ তিনি জানান, কয়েক মাসের মধ্যে বড় ভারী গাড়ি যাতায়াত করছে। নতুন করে কিছু আলো লাগানো হবে। ধস মেরামতির কাজ চলবে। তবে সৌন্দর্যায়ন করতে গিয়ে শহরে বিপর্যয় যাতে না ঘটে, সে দিকে নজর রাখতে হবে। অভিষেক বলেন, ‘‘ডায়মন্ড হারবার জেটিঘাট নতুন করে সাজানোর জন্য দফতরকে চিঠি লিখব।’’