যুবককে মাথায় হাতুড়ি মেরে খুন। প্রতীকী চিত্র
ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্ক থেকে খুন। প্রেমিক সম্পর্ক ভাঙতে না চাওয়ায় তাঁকে ফোন করে ডেকে এনে খুনের অভিযোগ উঠল বধূ-সহ চার জনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা ঘটেছে বসিরহাটের হাড়োয়া থানার গোপালপুর এক নম্বর পঞ্চায়েতের গোপালপুর দাসপাড়ায়। পুলিশ ওই বধূ, তাঁর স্বামী, বাবা এবং দিদিকে গ্রেফতার করেছে।
হাড়োয়ার গোপালপুর দাসপাড়ার মেয়ে চম্পা রুইদাসের বিয়ে হয়েছিল আসানসোলে। তাঁর স্বামী গৌতম রুইদাস পেশায় অটোচালক। গৌতমের বন্ধু স্বরূপের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন চম্পা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পারিবারিক গন্ডগোলের জেরে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন চম্পা। তবে তাতে রাজি ছিলেন না স্বরূপ। গত শুক্রবার স্বামীকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে আসেন চম্পা। অভিযোগ, সেখানেই স্বরূপকে খুনের পরিকল্পনা করেন তিনি এবং গৌতম। চম্পার ফোন পেয়ে রবিবার রাতে স্বরূপ পৌঁছন হাড়োয়ায়। অভিযোগ, রবিবার রাতেই স্বরূপের মাথা হাতুড়ি দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়। এর পর তাঁর দেহ প্লাস্টিক বস্তা চাপা দিয়ে আমবাগানে ফেলে দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখে খবর দেন পুলিশে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ যুবকের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। খুনের অভিযোগে পুলিশ চম্পা, তাঁর স্বামী গৌতম, বাবা খোকন সাহা এবং দিদিকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের দাবি, জেরায় তাঁরা খুনের কথা স্বীকার করেছেন। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছাড়াও অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুনের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহৃত একটি রক্তমাখা হাতুড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
চম্পার মায়ের বক্তব্য, ‘‘ওই ছেলেটি আমার জামাইয়ের প্রতিবেশী। মেয়ে আমাদের বাড়িতে এলে ওই ছেলেটাও আসত। ওই ছেলেটা বলত, ‘তোকে আমি স্বামীর ঘর করতে দেব না।’ এ বার আমার মেয়ে-জামাই আগে এসেছিল। পরে ওই ছেলেটা একা একা এসেছিল।’’